পাঁচ ছাত্রকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ২২:৫১ | প্রকাশিত : ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ২২:২১

রাজধানী ঢাকা এবং গাজীপুরের বিভিন্ন কলেজের পাঁচজন শিক্ষার্থীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। স্বজনরা জানতে পেরেছেন তাদেরকে ধরে নিয়ে গেছে সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা। কিন্তু অস্বীকার করছে পুলিশ। যদিও স্বজনদের দাবি, বিশ্বস্ত সূ্ত্রে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেই আছে তাদের সন্তান।

সোমবার দুপুরে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) নিখোঁজদের স্বজনদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।

নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা হলেন ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম ও শাকির বিন হোসাইন এবং গাজীপুরের ভাওয়াল কলেজের রবিউল ইসলাম, ওমর ফারুক এবং আব্দুল্লাহ নোমান।

এদের মধ্যে শাকির বিন হোসাইন ৩০ নভেম্বর বিকালে প্রয়োজনীয় কাজে বের হন শাকিল। রাত আটটার দিকে টঙ্গীর কলেজ গেটে কুরিয়ার সার্ভিসে একটা পার্সেল এসেছে বলে জানান স্বজনদের। নয়টার দিকে তার ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়। সাড়ে ১০টার দিকে কলেজ গেটে খোঁজ নিতে গেলে স্বজনরা জানান, সাদা পোশাকধারী লোকজন গোয়েন্দা পরিচয়ে মাইক্রোবাসে করে কয়কেজনকে উঠিয়ে নেয়ে গেছে।

এরপর শাকিল এবং অন্যদের স্বজনরা নিখোঁজদের খুঁজতে ডিবির কার্যালয়ে যান, কিন্তু কর্মকর্তারা কাউকে ধরে আনার কথা অস্বীকার করে।

সংবাদ সম্মেলনে একজন তরুণী বলেন, ‘আমার ভাই শাকিল ও তার বন্ধু জুয়েলের গ্রেপ্তারের পর রাত তিনটায় ওমর ও নোমানের পরিবার থেকে জানতে পারি তাদের সন্তানকেও সাদা পোশাকদারী কয়েকজন লোক গাজীপুরের টঙ্গীর খাঁ পাড়া রোডের একটি বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে থানায় গিয়ে জিডি করেছেন তারা।’

অভিভাবকদের দাবি, তারা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছেন, তাদের সন্তান পুলিশের কাছেই আছে। কিন্তু পাঁচ দিনেও তারা স্বীকার করেনি।

নিখোঁজ একজন তরুণের অভিভাবক বলেন, ‘আমাদের সন্তানেরাও কোন ধরনের রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। কিন্তু পাচঁ দিন পেরিয়ে গেলেও তাদের কোন খোঁজ পাচ্ছি না। তাই আমরা নিরুপায় হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মধ্যমে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানাতে চাই, আমদের সন্তানেরা যদি কোনো অপরাধের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তাদের আদালতের মাধ্যমে বিচারের সম্মুখীন করা হোক।’

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, ‘একজন ছেলের পক্ষে তার স্বজনরা থানায় জিডি করেছে। কিন্তু বাকিদের ব্যাপারে থানায় কোনো জিডি হয়নি এবং তারা যেসব নাম বলছে, তাদের কেউ আমার থানায় আটক বা গ্রেপ্তার নেই।’

ঢাকাটাইমস/০৫নভেম্বর/এসপি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :