কক্সবাজার-২

আ.লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি না জামায়াত?

কক্সবাজার, প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ১০ নভেম্বর ২০১৮, ১১:৪৫

নবম সংসদ নির্বাচনে শরিক জামায়াতকে আসনটি ছেড়ে দিয়েছিল বিএনপি। আগামী নির্বাচনে দলটি কী করবে- এ নিয়ে আছে প্রশ্ন। কারণ, স্থানীয় নেতারা এখানে ধানের শীষের প্রার্থী চান। আর জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় তারা দাবি জোরাল করেছেন।

মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলা মিলিয়ে কক্সবাজার-২ আসনে কারা পাবেন মনোনয়ন-এই বিষয়টির পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী দল কে-এই প্রশ্নও বড় হয়ে উঠেছে। এক পাশে আওয়ামী লীগ থাকছে- এটা নিশ্চিত। তবে অপর পাশে বিএনপি না জামায়াত- এটা নিশ্চিত নয়।

আবার বিএনপিতেও আছে বিভেদ। তারা দুই ভাগে বিভক্ত। অবশ্য দুই পক্ষই চায় ধানের শীষের প্রার্থী দেয়া হোক, আর জয় আসুক বিএনপির। অন্যদিকে জোটগত হোক আর একক হোক-বিএনপিকে ছাড় দিতে রাজি নয় জামায়াতও। সব মিলিয়ে জোটের গাঁথুনি এবার বেশ নড়বড়ে।

১৯৯১ সালে জিতলেও ১৯৯৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আসনটিতে টানা হেরেছে আওয়ামী লীগ। তবে ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের ভোট বর্জনের পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেন আওয়ামী লীগের আশেক উল্লাহ রফিক। তার দাবি, গত পাঁচ বছরে এলাকায় যে উন্নয়ন হয়েছে, তাতে তিনি নৌকা প্রতীক পেলে আসনটি উপহার দেবেন দলকে।

এই সংসদ সদস্যের দাবি, গত পাঁচ বছরে মহেশখালীর যে উন্নয়ন, সেটা তার মাধ্যমেই হয়েছে। এই উন্নয়নকে গতিশীল রাখতে তাকে আবার সুযোগ দেওয়া উচিত। পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকাকেও দলের মনোনয়ন পাওয়ার বড় যোগ্যতা বলে দাবি এই সংসদ সদস্যের।

রফিক ছাড়াও আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা, পরিবেশ বিজ্ঞানী আনছারুল করিম এবং সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ওসমান গনি।

আনসারুল করিমকে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিলেও তিনি জামায়াতের হামিদুর রহমান আযাদের কাছে হেরে যান। তবে ওই নির্বাচনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভুল শুধরে এবার জয়ের প্রত্যাশায় তিনি।

বিএনপি ভোটে এলে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য শরিক জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ মোহিবুল্লাহও নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। দল এরই মধ্যে তাকে মনোনয়ন দিয়েছে বলে দাবি তার।

মোহিবুল্লাহর দাবি, মহেশখালীর বর্তমান যে রাস্তাঘাট আছে তাও এরশাদ সরকারের হাত ধরেই হয়েছে। স্কুল কলেজের নির্মাণেও তার দলের অবদান ছিল বেশি। তাই প্রার্থী হলে তিনিই জিতবেন।

বিএনপি না জামায়াত?

২০০৮ সালের পর আর নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি-জামায়াত জোট। আর ওই নির্বাচনে ছাড় পাওয়া জামায়াত আবারও তাদের প্রার্থী চাইছে। জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ অবশ্য এখন কারাগারে। অবশ্য নির্বাচনে অংশগ্রহণে এটা কোনো বাধা নয়।

তবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় তাদের দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় ভোট করা সম্ভব নয়। ফলে জামায়াতকে ছাড় দিলে তাদেরকে নির্বাচন করতে হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। নইলে জোটের অন্য শরিক দলের প্রতীক নিতে হবে।

আবার আসনটি থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ নির্বাচন করার গুঞ্জন আছে। পাশাপাশি সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু বকরের নামও আছে আলোচনায়।

বিএপির উপজেলা শাখার সভাপতির দাবি, এই আসনে তারা সালাহ উদ্দিন আহমেদকেই প্রার্থী হিসেবে চান। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আসনটিতে বিএনপিই জিতবে বলে তার।

আসনটিতে ভোটার দুই লাখ ৯৬ হাজার ৯১ জন। এদের মধ্যে কুতুবদিয়ার ভোট আবার বেশি।

অতীতে যারা ছিলেন সংসদ সদস্য

১৯৯১ সালে আসনটিতে জিতেন আওয়ামী লীগের ইসহাক মিয়া।

১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে জিতেন বিএনপির আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ।

২০০৯ সালে জিতেন জামায়াতের হামিদুর রহমান আযাদ।

২০১৪ সালে জিতেন আওয়ামী লীগের আশেক উল্লাহ রফিক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

সরকারের এমপিরা ঘোষণা দিয়ে লুটপাট শুরু করেছে: এবি পার্টি

বদরের চেতনায় লড়াই অব্যাহত রাখার আহ্বান ছাত্রশিবির সভাপতির

আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের

বিএনপির ভারত বিরোধিতা মানুষের কষ্ট বাড়ানোর নতুন সংস্করণ: নাছিম

ভোট ডাকাত সরকারকে সমর্থনকারী দেশের পণ্য বর্জন ন্যায়সঙ্গত: রিজভী

১১ মামলায় আগাম জামিন পেলেন বিএনপি নেতা বকুল

বর্তমান সরকার ভারতের অনুগ্রহে ক্ষমতায় বসে আছে: সাকি

জিয়াউর রহমান উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করে: ওবায়দুল কাদের

রুহুল আমিন হাওলাদারের বড় ভাই সুলতান আহমেদ মারা গেছেন

গণতন্ত্রের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হবো: মির্জা ফখরুল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :