ভোটের বিপক্ষে বিএনপির পাঁচ শরিক, সময় নিয়েছে জামায়াত
বিএনপি এবং তার ২০ দলীয় জোটের বেশিরভাগ শরিক নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে হলেও পাঁচটি দল বর্জনের সুপারিশ করেছে। জোটের দ্বিতীয় প্রধান দল জামায়াতে ইসলামী সরাসরি মত না দিয়ে একদিন সময় চেয়েছে।
যেসব দল ভোট বর্জনের পক্ষে সেগুলো হলো আন্দালিব রহমান পার্থর বিজেপি, এম এ রকিব উদ্দিনের ইসলামী ঐক্যজোট এবং সাইফুদ্দিন মনির ডেমোক্রেটিক লিগ, রিটা রহমানের পিপলস পার্টি অব বাংলাদেশ এবং মাইনোরটি জনতা পার্টি। বাকিরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে।
গতকাল রাতে গুলশানে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে অংশ নেয়া নেতারা এই তথ্য জানান। তবে বিএনপি তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শরিকদের জানায়নি।
তবে জোটভুক্ত নিবন্ধিত যেসব দল এই নির্বাচনে অংশ নেবে রবিবার তাদের তালিকা পাঠানো হবে নির্বাচন কমিশনে। শরিক দলগুলোর নেতারা কোন প্রতীকে ভোট করবেন, সেটা আলাদাভাবে জানাবেন।
বৈঠক শেষে এলডিপি সভাপতি অলি আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনে যাব কি যাব না- এ ব্যাপারে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। দুই দিনের মধ্যে ২০ দলের মূল দল বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনা করে জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে।’
‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিতে আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি। তাকে মুক্ত করতে হবে। তাহলে নির্বাচনের পরিবেশ ফিরে আসবে। বিএনপির নেতাকর্মীদের গত দুইদিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাস্তাঘাটে তাদের নির্যাতন করা হচ্ছে। এগুলো বন্ধ না করা পর্যন্ত সুষ্পষ্টভাবে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাতে পারব না।’
অলি এও বলেন, ‘যদি আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি, তাহলে আমরা দলীয় প্রতীকে অংশগ্রহণ করব, অনেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে। সেক্ষেত্রে যদি নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হয় জানানো হবে।’
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জামায়াতের প্রতিনিধি আবদুল হালিম বলেন, আজ তাদের নির্বাহী কমিটিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে তাদের মতামত জানানো হবে।
বৈঠক শেষে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘কাল (আজ) মহাসচিব ব্রিফিং করবেন। তখন জানতে পারবেন কী সিদ্ধান্ত হয়েছে। আপাতত এটুকুই।’
আর স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
এরপর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গেও আলাদা একটি বৈঠক শুরু হয়। সেখানে বৈঠকে ছিলেন আ স ম রব, তানিয়া রব, আবদুল কাদের সিদ্দিকী, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি নেতারা আগামী ২৩ ডিসেম্বরের ভোটে আসার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা না বলে সেটা চূড়ান্ত করতে চাইছেন না তারা।
ঢাকাটাইমস/১০নভেম্বর/বিইউ/ডব্লিউবি