আব্বাস ও হাফিজ ইব্রাহীমের মামলা চলবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা বাতিলের আবেদন রবিবার সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। এর ফলে তার বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
অপরদিকে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বড় ভাই সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ত্রাণের টিন আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ মামলার ওপর থেকে হাইকোর্টের জারি করা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে আদালত। ফলে বিচারিক আদালতে মামলাটির কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
মির্জা আব্বাসের মামলার বিষয়ে জানা গেছে, পাঁচ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ২৩৪ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৫৮১ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শফিউল আলম ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রমনা থানায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বিচারাধীন।
হাফিজ ইব্রাহীমের মামলার বিষয়ে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১৩ জুন ভোলার নৌকন্টিজেন্ট এবং বোরহান থানা পুলিশ যৌথভাবে বোরহান উদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের মনিরাম বাজার সংলগ্ন হাফিজ ইব্রাহিম মহাবিদ্যালয়ের তিনটি ঘর থেকে ১০০ বান্ডিল ত্রাণের ঢেউটিন উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বোরহান উদ্দিন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ২০০৭ সালের ১৩ জুন দুইজনকে আসামি করে বোরহান উদ্দিন থানায় মামলা করেন। মামলাটি দুদকের সহকারী পরিচালক রামমোহন নাথের তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে অধ্যক্ষ এস এম গজনবী, কলেজটির চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন শাহজাহানকে নিয়ে চারজনের নাম উঠে আসে। মামলাটিতে এ পর্যন্ত আসামিদের সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
তবে এরই মধ্যে বিচারিক আদালতে চলমান মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ নভেম্বর এ মামলায় জারি করা রুলের শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার জন্য রবিবার নির্ধারণ করেন।
(ঢাকাটাইমস/১১নভেম্বর/এমএবি/জেবি)