পুলিশের উপস্থিতিতে হরিণ শিকারের তদন্ত চায় হাইকোর্ট
সুন্দরবনে পুলিশ সদস্যদেও উপস্থিতিতে ২২টি হরিণ শিকারের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিমকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে হবে।
পাশাপাশি সুন্দরবন সংরক্ষণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেন আদালত।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেয়। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন শামছুল হক।
গত ৮ জুলাই সুন্দরবনে কোস্টগার্ড ও বন বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে ২২টি জবাই করা হরিণ ও ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। এ সময় শ্যামনগর থানার এসআই লিটন, এসআই হাবিব, এএসআই মামুন ও ফজলুল করিম, কনস্টেবল আলমগীর, কনস্টেবল সাইফুল্লাহ, কনস্টেবল উত্তম কুমার, ইন্টারপোলের কালো তালিকাভুক্ত ‘বাঘ শিকারি’ আব্দুস সাত্তার মোড়ল, তার সহযোগী আনোয়াারুল ইসলাম, মহিবুল্লাহ, আলী হোসেন, মনজু, সামাদ, বিকাশ, আকজান, ইউসুফ, এবং বাচ্চুকে আটক করা হয়।
কিন্তু, বন বিভাগকে মামলা করতে না দিয়ে শ্যামনগর থানার এসআই লিটন নিজেই দুটি মামলা করেন। সেখানে তিনটি হরিণ ও তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার দেখানো হয়। আর আসামি করা হয় ছয় জনকে।
এরপর সুন্দরবন থেকে ২২টি হরিণ শিকারের ঘটনা গত ৯ জুলাই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরে ওই এলাকার বাসিন্দা ও সাপ্তাহিক ‘নয়া বার্তা’র সম্পাদক আবু বকর জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেয়।
ঢাকাটাইমস১২নভেম্বর/ডব্লিউবি