মাদারীপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতি সদস্যদের অনাস্থা

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর ২০১৮, ২২:৪৬

মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অমিত হোসেন কবিরের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অনাস্থা প্রস্তাব করেছেন পরিষদের নয়জন ইউপি সদস্য।

বিষয়টি দীর্ঘদিন জানাজানি না হলে সোমবার সকালে একাধিক ইউপি সদস্য সাংবাদিকদের জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে জেলা প্রশাসকের কাছে সরাসরি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই সদস্যরা। একইসঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও সচিব, দুদক চেয়ারম্যান ও সচিব, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাদারীপুর সদর অনুলিপি দেয়া হয়েছে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর পরিষদের কার্যক্রমসহ সব উন্নয়ন প্রকল্প একক সিদ্ধান্তে বাস্তবায়ন, উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিম্নমানের কাজ, স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, অনিয়ম, প্রভাব খাটিয়ে চাঁদা আদায়, ওয়ান পার্সেন্টর কাজ, কাবিখা, কাবিটা, টি-আর, ৪০ দিনের কর্মসূচি, আশ্রয়নে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অর্থ আত্মসাৎ, গ্রাম্য শালিশে বিচার প্রার্থীদের নির্যাতন ও বেআইনি জরিমানা, বয়স্ক ভাতার টাকায় জালিয়াতি, জন্ম নিবন্ধন ও অনলাইন সনদপত্রে অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ড করেছেন চেয়ারম্যান অমিত হোসেন কবির।

লিখিত অভিযোগে আরো জানা যায়, এসব অপকর্মের বিরোধিতা করে চেয়ারম্যানকে সদস্যরা বারবার সর্তক করলেও তিনি নিজেকে সংশোধন করেনি। বরং ইউপি সদস্যদের প্রতি বেপরোয়া হয়ে উঠেন চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যানের এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী সদস্যরা সভা ডেকে রেজুলেশন করে সর্বসম্মতিক্রমে অমিত হোসেন কবিরের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস করা হয়।

লিখিত অভিযোগে স্বাক্ষর করেন, ইউপি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য জুলেখা বেগম,মিনু বেগম ও রেহেনা বেগম, ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, ইকবাল হোসেন হাওলাদার, সেকেন্দার শরীফ, হালিম খান ও জিয়াউল হক।

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান অমিত হোসেন কবিরকে মুঠোফোনে অনাস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে অমিত হোসেন কবির জানান, তার বিরুদ্ধে সদস্যরা যে অভিযোগ করেছেন তা সত্য নয়। আমরা বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগকারীরা।

জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে সত্যতা তদন্তের জন্য ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার শাখার দায়িত্বরতদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন গিয়াস জানান, কুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অমিত হোসেন কবিরের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১২নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :