খালেদার তিন আসনে বিকল্প প্রার্থী কারা?

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:৫৪

বোরহান উদ্দিন

দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভোটে অংশ নেয়ার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও তাকে তিনটি আসনে প্রার্থী করতে চায় দল। বগুড়া-৬ ও ৭ এবং ফেনী-১ আসনে তার জন্য মনোনয়ন ফরম তোলা হয়েছে। তবে তিনি ভোট করতে না পারলে বিকল্প প্রার্থীও ঠিক করে রাখার কথা জানানো হয়েছে।

নেতাকর্মীদের বিশ্বাস, শেষ পর্যন্ত তাদের দলীয় প্রধান নির্বাচন করতে পারবেন।

খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কি না- এমন প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রিটার্নিং কর্মকর্তার। তিনি (খালেদা জিয়া) সংক্ষুব্ধ হলে কমিশনে আপিল করতে পারবেন। আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিশন বসে ওই আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। রায় বিপক্ষে গেলে তার আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।’

যদি বিএনপিপ্রধান নির্বাচন করতে না পারেন- সে ক্ষেত্রে কী হবে? নেতাকর্মীরা জানান, বগুড়ার দুটি আসনে জিয়া পরিবারের সদস্যদের বাইরে কাউকে ভাবছেন না তারা। সে ক্ষেত্রে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে নিয়ে ভাবছেন স্থানীয় নেতারা। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথির কথাও বলছেন কেউ কেউ।

নির্বাচন সামনে রেখে জোবায়দা রহমানকে দলের প্রাথমিক সদস্য করার জন্য দলে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে গুঞ্জন আছে।

অন্যদিকে ফেনী-১ আসনে শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়া লড়তে না পারলে কে হবেন বিএনপির প্রার্থী তা নিয়ে ধোঁয়াশায় আছেন নেতাকর্মীরা।

বগুড়ার দুটি আসনে শেষ পর্যন্ত জোবায়দা রহমান বা জিয়া পরিবারের কাউকে না পেলে বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে পারেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বগুড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র কে এম মাহবুবার রহমান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন।

সাইফুল ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এই আসনে জিয়া পরিবারের বাইরে কাউকে আমরা ভাবছি না। আশা করি, চেয়ারপারসনই নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন। অতীতের মতো বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।’

জোবায়দা রহমানের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল বলেন, ‘আমিও আপনার মতো গুঞ্জনই জানি। টিল নাউ আমি কিছু জানি না।’

জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে ম্যাডামই প্রার্থী হবেন বলে আশাবাদী আমরা। তা না হলে জিয়া পরিবারের হয়ে কে লড়বেন, সেই সিদ্ধান্তও নেবেন ম্যাডাম ও তারেক রহমান।’

বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেল বলেন, ‘আমাদের প্রথম চাওয়া চেয়ারপারসনকে। না হলে জিয়া পরিবারের দুই পুত্রবধূ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো অঘটন ঘটলে স্থানীয় অনেকে আছেন যারা প্রার্থী হতে পারেন।’

ঢাকা টাইমস/১৩ নভেম্বর/বিইউ/ডব্লিউবি