দুর্নীতির অভিযোগে ইবির কর্মকর্তা ও কর্মচারী বরখাস্ত

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ১০:২৭

ইবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

চাকরির প্রলোভন দিয়ে টাকা নেয়ার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা হলেন, আইন ও শরীয়াহ্ অনুষদের সহকারী রেজিস্ট্রার উমর আলী ও গাড়ীচালক মুন্সি তারিকুল ইসলাম। 
সোমবার রাতে তাদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। বিশ্শব^দ্যিালয়ের তথ্য প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের হার্ডওয়্যার এবং নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান পদে চাকরির প্রলোভন দিয়ে উমর আলী এবং তারিকুল চেকের মাধ্যমে মামুনুর রশিদ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নেন। সোমবার সকালে রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার অমৃতপুর গ্রামের মামুনুর রশিদ উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর নিকট ওই দুই জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। 
অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত করেন উপাচার্য। ঘটনার সত্যতা মেলে। বর্তমানে ওই টাকা উমর আলীর অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড ইবি শাখায় সঞ্চয়ী হিসাবে জমা আছে। অর্থ লেনদেনের দুর্নীতির সাথে তাদের সম্পৃক্ততা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির ৩ (ডি) ধারা অনুযায়ী তাদের সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 
এদিকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। 
এছাড়াও সদস্য হিসেবে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 
ঢাকাটাইমস/১৩নভেম্বর/প্রতিনিধি/ওআর