নুহাশপল্লীতে হচ্ছে হুমায়ূন স্মৃতি জাদুঘর

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যক হুমায়ুন আহমেদের ৭০তম জম্ম বার্ষিকীতে আজ। নানা আয়োজনে তার জন্মদিন পালিত হচ্ছে তার নিজ হাতে গড়া নুহাশপল্লীতে। দিনটি উদযাপনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হুমায়ূন প্রেমিক লোকজন এসেছেন নুহাশপল্লীতে। তারা ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করেন জনপ্রিয় এ লেখককে।

জন্মদিন উপলক্ষ্যে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে কেক কাটা, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, ভাস্কর প্রদর্শনী, মিলাদসহ নেয়া হয় নানা কর্মসূচী। তার স্মৃতি আর ব্যবহৃত জিনিসপত্র সংরক্ষণে নুহাশপল্লীতে জাদুঘর নির্মাণের কথা বলেছেন হুমায়ুন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।

মঙ্গলবার সকাল থেকে শীতের কুয়াশা উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদ ভক্তরা। সাইকেল, বাসে চড়ে হলুদ পাঞ্জাবী পড়া হিমু পরিবারের সদস্যরাও এসেছেন। কবরে ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন সাংবাদিক, লেখক, সাহিত্যিকসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তারা।

মেহের আফরোজ শাওন তার দুই পুত্র সন্তান নিষাদ ও নিনিদকে সাথে নিয়ে নুহাশপল্লীতে আসেন। সকালে তারা হুমায়ুন আহমেদের কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।

নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, হুমায়ূন আহমেদের জম্মবার্ষিকী উপলক্ষে নুহাশপল্লীতে রাতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। এছাড়া দিসটি পালনের লক্ষে কেককাটা, শিল্পকর্ম প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ দিনব্যাপী নানা আয়োজন থাকছে।

মেহের আফরোজ শাওন জানান, ‘হুমায়ুনের নানা স্মৃতি ও জিনিসপত্র বিভিন্ন জনের কাছে ছড়িয়ে আছে। এসব স্মৃতি সংরক্ষণে পারিবারিক সম্মতিতে খুব শিঘ্রই নুহাশ পল্লীতে হুমায়ূন স্মৃতি জাদুঘরের কাজ শুরু করা হবে। যেটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।’

১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জম্ম গ্রহণ করেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। তার বাবা ফয়েজুর রহমান ও মা আয়েশা ফয়েজ। ২০১২ সালে ১৯ জুলাই মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান।

বাংলা সাহিত্যের এ বরপুত্র স্মৃতি আর লেখনীর মাধ্যমে তার জম্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন। তিনি অছেন এবং থাকবেন তার ধ্রুপদী সাহিত্যের মাধ্যমে এমনটাই আশা তার ভক্তদের।

ঢাকাটাইমস/১৩নভেম্বর/প্রতিনিধি/ওআর