খালেদার মানহানির দুই মামলায় চার্জ শুনানি পেছাল

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:২৩

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালন এবং যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার মানহানির দুই মামলায় চার্জগঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৩ ডিসেম্বর ধার্য করেছে আদালত।

মঙ্গলবার আসামিপক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।
এ সম্পর্কে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, মামলা দুটিতে বুধবার চার্জগঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) কারাগার থেকে আদালতে না আনায় আমরা সময় চেয়েছিলাম।

মামলা দুইটিতে গত ৫ জুলাই সিএমএম আদালত খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করলেও গত ৩১ জুলাই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েস জামিন মঞ্জুর করেন।

২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ভুয়া জন্মদিনের মামলা দায়ের করেন। পরে ওই বছর ২৭ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

মামলায় বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে খালেদা জিয়ার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তিনি পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন। শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণœ করার জন্য তিনি ওইদিন জন্মদিন পালন করেন।

অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধীদের মদদের মামলাটি ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী দায়ের করেন। ২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) এবিএম মশিউর রহমান খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই বছর ১২ অক্টোবর সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

মামলায় বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর কলঙ্কিত মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে সামরিক সরকারের দায়িত্ব দখল করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসলে তাকে হুমকি তার বাবার বাড়িতে প্রবেশ করতে দেননি। এ ছাড়া খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করে স্বাধীনতাবিরোধী আলবদর রাজাকারদের হাতে মন্ত্রিত্ব তুলে দেয়। যার মাধ্যমে স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকা মানহানি ঘটিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৩নভেম্বর/আরজেড/জেবি)