ফিরতে নারাজ ভীত সন্ত্রস্ত রোহিঙ্গারা

প্রকাশ | ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:৫৪

ইসমত আরা ইসু, রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে

মিয়ানমারের সঙ্গে সমঝোতা অনুযায়ী আজ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রস্তুত বাংলাদেশ। তবে নিরাপত্তা ও নাগরিকত্ব না পাওয়ার শঙ্কায় ভীত সন্ত্রস্ত রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে নারাজ।

আজ দুপুরে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু কথা থাকলে সকাল থেকে বিক্ষোভ করছে টেকনাফের উঞ্চিপ্রাং ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা। বিকাল তিনটার দিকেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি। এ অবস্থায় অনিশ্চয়তার মুখে পড়লো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া।

সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ করে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে মিয়ানমারে পাঠাতে উঞ্চিপ্রাং ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা। এ ক্যাম্প থেকে তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে পাঠানোর কথা রয়েছে।

তবে তারা কেউ ফিরতে রাজি নয়। বিক্ষুব্ধ রোহিঙ্গারা মিছিল সমাবেশে প্রকম্পিত করে তোলে পুরো ক্যাম্প এলাকা। তারা পাঁচ দফা দাবি জানায়।

রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বলছেন, ‘আমাদের যে ৫ দাবি রয়েছে তা পূরণ হলেই দেশে ফিরে যাবো। আমরা সঠিক নিরাপত্তা চাই। আমরা ওদের (মিয়ানমার) বিশ্বাস করি না। আমরা মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে পরিচিতি দেয়ার জন্যে জাতিসংঘকে অনুরোধ জানায়।’

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফেরাতে আমরা ঘুমধুম পথ ব্যবহার করবো বলে আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাদের তিন দিনের রেশনসহ সব কিছু আমরা প্রস্তুত করেছি। যারা স্বেচ্ছায় যেতে চান তাদের মর্যাদার সঙ্গে ফেরত পাঠানো হবে।’

বাংলাদেশ-মিয়ানমারের গঠিত যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির তথ্য অনুযায়ী আজ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। প্রথম দফায় যেসব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা হচ্ছে, তাদের টেকনাফের উনচিপ্রাং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। উখিয়ার বালুখালী সংলগ্ন নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ট্রানজিট পয়েন্ট দিয়ে তাদের রাখাইনে পাঠানোর কথা রয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১৫নভেম্বর/ডিএম