সিনেপ্লেক্সে আজ হলিউডের দুই সিনেমা

প্রকাশ | ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ১১:৩৪

বিনোদন ডেস্ক

ফ্যান্টাসটিক বিস্টস সিরিজের নতুন সিনেমা ‘ফ্যান্টাসটিক বিস্টস: দ্য ক্রাইমস অব গ্রিন্ডেলওয়ার্ল্ড’সিনেমাটি আজ আন্তর্জাতিক পরিসরে মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে। একই দিনে সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে আরও এক বিদেশি সিনেমা। জনপ্রিয় মার্কিন লেখক সুয়েসের গল্প অবলম্বনে নির্মিত এই সিনেমাটির নাম ‘দ্য গ্রিঞ্চ’

ফ্যান্টাসটিক বিস্টস: দ্য ক্রাইমস অব গ্রিন্ডেলওয়ার্ল্ড’-এর ডেভিড ইয়েটস। এ ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন ‘হ্যারি পটার’ খ্যাত লেখক জে কে রাউলিং। ২০১৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল ফ্যান্টাসটিক বিস্টস সিরিজের প্রথম কিস্তি ‘ফ্যান্টাসটিক বিস্টস অ্যান্ড হয়ার টু ফাইন্ড দেম’। দুই বছর পর মুক্তি পেতে যাচ্ছে এটির সিক্যুয়াল। বছরের মাঝামাঝি সময়ে ইউটিউবে ছবিটির ট্রেলার প্রকাশের পরপরই রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়ে দর্শক।

হ্যারি পটার ভক্তদের জন্য ২০১৬ সালের ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস অ্যান্ড হোয়ার টু ফাইন্ড দেম’ ছিল অনেকটা চমকের মতো। হ্যারি, রন কিংবা হারমিয়ন না থাকলেও ছবির শুরু থেকে শেষ অবধি ছিল জাদুর ছড়াছড়ি। ছবির শুরুটা হয় জাদুকর নিউট স্ক্যামান্ডারকে দিয়ে। বাক্সভর্তি জাদুকরী প্রাণী নিয়ে নিউইয়র্ক হয়ে অ্যারিজোনায় যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু পথে বদলে যায় প্রাণীভর্তি বাক্স। নিউটের বাক্স চলে যায় জ্যাকবের কাছে। বাক্স থেকে বেরিয়ে আসে প্রাণী, কামড় দিয়ে বসে জ্যাকবের ঘাড়ে।

তবে শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। ছবির অন্য দুই চরিত্র কুইনি ও টিনার সঙ্গে পরিচয় হয় নিউট ও জ্যাকবের। ভালোবেসে ফেলে তারা একে অন্যকে। চলে যেতে হবে জেনেও কথা দেয় ফিরে আসবে। যার যার বাক্স ফিরে যায় তার তার কাছে। জাদুর বৃষ্টি ঝরিয়ে নিজেদের কথা নিউট শহরের সব মানুষের মন থেকে মুছে দেয়। এরপর কী হলো? নিউট কি আর ফিরে এসেছিল টিনার কাছে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে সবাই আগ্রহী। তবে তার চেয়ে বেশি আগ্রহ জে কে রাউলিংয়ের গল্প বলার ক্যারিশমা দেখতে।

‘হ্যারি পটার’ দুনিয়ার জনপ্রিয় চরিত্র ডাম্বালডোরকে এবারের ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস’ ছবিতে দেখা যাবে। তবে আমাদের চেনা সেই বৃদ্ধ ডাম্বালডোর নন। আসছেন তরুণ ডাম্বালডোর। সঙ্গে থাকছেন ছবির ভিলেন ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস: দ্য ক্রাইম অব গ্রিন্ডেলওয়ার্ল্ড’-এর ‘গ্রিন্ডেলওয়ার্ল্ড’। ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস’-এর প্রথম ছবির শেষে ম্যাজিকাল কংগ্রেস অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকার হাতে ধরা পড়ে গ্রিন্ডেলওয়ার্ল্ড। এরপর থেকেই তাকে নিয়ে সবার অপেক্ষার শুরু। সেখানেই এক ঝলক দেখা যায় গ্রিন্ডেলওয়ার্ল্ডরূপে জনি ডেপকে।

অন্যদিকে জনপ্রিয় মার্কিন লেখক ডক্টর সুয়েসের লেখা বই ‘হাউ দ্য গ্রিঞ্চ স্টোল ক্রিসমাস!’ অবলম্বনে ১৯৬৬ সালে একটি অ্যানিমেটেড টেলিভিশন ফিল্ম নির্মিত হয়। এরপর ২০০০ সালে তৈরি হয় পূর্ণদৈর্ঘ্য লাইভ অ্যাকশন ছবি। এতে অভিনয় করেছিলেন জিম ক্যারি। এবার ডক্টর সুয়েসের জনপ্রিয় চরিত্র ‘গ্রিঞ্চ’নতুনভাবে দর্শকের সামনে আসছে। ‘দ্য গ্রিঞ্চ’নামের অ্যানিমেটেড ছবিটি নির্মাণ করেছেন পিটার ক্যান্ডিল্যান্ড ও ইয়ারো চেনি।

ছবিটি প্রযোজনা করেছে ইউনিভার্সাল পিকচার্স অ্যান্ড ইলুমিনেশন এন্টারটেইনমেন্ট। দ্য গ্রিঞ্চের ট্রেলারে দেখা যায়, অ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভেঙে যায় গ্রিঞ্চের। এতে বিরক্ত হয়ে বই ছুড়ে অ্যালার্ম ঘড়িটি বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করে। এরপর তার অনুগত কুকুর ম্যাক তাকে কফি বানিয়ে খাওয়ায়। তারপর গ্রিঞ্চ পোশাক পরে বাইরে বের হয় এবং নানা ধরনের বিরক্তিকর ঘটনা ঘটায়।

মজার ব্যাপার হলো, এখানে অভিনেতা বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ খলনায়কের চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন। যে কিনা ক্রিসমাস উৎসবকে ঘৃণা করে এবং হুভেলের বাসায় আয়োজিত অনুষ্ঠানকে পণ্ড করে দেয়ার পরিকল্পনা করে।

ঢাকা টাইমস/১৬ নভেম্বর/আরআই/এএইচ