ভোটে যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর দুই ছেলে

প্রকাশ | ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:৩৮

রেজা করিম, ঢাকাটাইমস

মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দুই ছেলে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। তাদের মধ্যে পিরোজপুর-১ আসনে বড় ছেলে শামীম সাঈদী এবং পিরোজপুর-২ আসনে ছোট ছেলে মাসুদ সাঈদী প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

২০১৩ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পান সাঈদী। তবে আপিলের রায়ে ২০১৪ সালে দেওয়া হয় আমৃত্যু কারাদণ্ড।
সাঈদী পিরোজপুর-১ আসন থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত হওয়ায় তিনি ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না।

সাঈদী কারাগারে যাওয়ার পর পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে জেতেন তার ছোট ছেলে মাসুদ সাঈদী। তাকে এবার পিরোজপুর-২ আসনে প্রার্থী করার কথা ভাবছে জামায়াত। অন্যদিকে বড় ছেলে শামীম সাঈদীকে পিরোজপুর-১ আসনের জন্য বাছাই করেছে জামায়াত।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ দণ্ডপ্রাপ্ত নেতাদের স্বজনদের সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমার জানামতে, দণ্ডপ্রাপ্ত নেতাদের স্বজনদের মধ্যে সাঈদীর দুই পুত্র ছাড়া আর কারও বিষয়ে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে জোর আলোচনা নেই। সাঈদীর দুই পুত্রকেই মনোনয়ন দিতে যাচ্ছে জামায়াত।’

মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘পিরোজপুর-১ আসনে আমার বড় ভাই শামীম সাঈদী নির্বাচন করবেনÑএটা দল ও জোটগতভাবে মোটামুটি চূড়ান্ত হয়েছে। পিরোজপুর-২ আসন থেকে নির্বাচন করতে আমাকেও দলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে। আমি এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিইনি। পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে প্রার্থী হব।’

তবে সাঈদীর দুই ছেলের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টিতে বিএনপির সম্মতির প্রয়োজন আছে। কারণ, তারা ছাড় দিলেই কেবল দাঁড়াতে পারবেন তারা। আর নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই লড়তে হবে তাদের।

যদিও আসন দুটির বিপরীতে বিএনপি ও জোটের আরও অনেক নেতা এরই মধ্যে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে জোটের শরিক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দারের নাম শোনা যাচ্ছে। তিনি পিরোজপুর-১ আসন থেকে জোটের প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে।
রাজি নন যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের সন্তানেরা

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে নাজিব মোমেন নির্বাচন থেকে সরে গেছেন এরই মধ্যে। তাকে পাবনা-১ আসনের জন্য বাছাই করেছিল জামায়াত।
শেরপুর-১ আসনে মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামীর প্রার্থী হওয়ার কথা থাকলেও তার পরিবার থেকে অনাগ্রহ দেখানো হয়েছে।

ওয়ামীর বিষয়ে বলা হয়েছে, তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করছেন। চাকরির ব্যস্ততার কারণে নির্বাচন করতে পারবেন না।

জামায়াতের দেওয়া তথ্যমতে, ফাঁসি হওয়া আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফরিদপুর-৩, আব্দুস সুবহানের পাবনা-৫, আব্দুল আজিজের গাইবান্ধা-১ এবং রংপুর-২ আসনে এটিএম আযহারুল ইসলামের কোনো স্বজনকে প্রার্থী করার ঝুঁকি নিচ্ছে না জামায়াত।

ঢাকাটাইমস/১৬নভেম্বর/আরকে/ ইএস