বিএনপি ভোটে এলেও দূরে রিজভী
দল ভোটে এলেও চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচনে আসতে চাইছেন না রুহুল কবির রিজভী। দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের সাড়ে চার হাজারেরও বেশি নেতা প্রার্থী হওয়ার বাসনায় মনোনয়ন ফরম নিলেও নেননি দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
আগামী ৩০ ডিসেম্বরের ভোটকে সামনে রেখে ১২ থেকে ১৬ নভেম্বর ফরম বেচে বিএনপি। রিজভী বারবার বলছিলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে বিএনপি ভোটে আসবে না। তবে গত ১৩ অক্টোবর ড. কামাল হোসেনকে নেতা মেনে বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করার পর থেকেই স্পষ্ট হতে থাকে, ভোটে রাজি বিএনপি। আর ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার তিন পর পর জোটের পক্ষ থেকে ভোটে আসার ঘোষণা দেন কামাল হোসেন।
ড. কামাল এরই মধ্যে স্বীকার করেছেন ২০১৪ সালের ভোট বর্জন ভুল ছিল। আগামীতে সে ভুল আর করতে চান না তারা।
তবে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে ভোটে না যেতে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে এক চুল নড়েননি রিজভী।
যদিও পাঁচ দিন এই বিএনপি নেতার হাত ধরেই বিক্রি ও জমা পড়েছে বহু ফরম। তিনি গম্ভীর মুখে ছবিও তুলেছেন এ সময়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি রিজভী সাহেব মনোনয়ন ফরম নেননি।’
কেন রিজভী মনোনয়ন নেননি জানতে চাইলে বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এটা রিজভী ভাইকেই জিজ্ঞেস করুন। আমি বলতে পারব না।’
তবে রিজভীর ক্তব্য পাওয়া যায়নি তিনি ফোন না ধরায়।
গত কয়েক বছর ধরেই রিজভী আলোচিত হয়ে উঠেছেন তার বক্তব্যের জন্য। দলের অন্য নেতারা যখন চুপচাপ থেকেছেন, তখনও তিনি সরকারবিরোধী কঠোর বক্তব্য দিয়ে গেছেন। আর এক পর্যায়ে গ্রেপ্তার এড়াতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেন তিনি। চলতি বছরের শুরু থেকে এখনও সেখানেই থাকছেন।
ছাত্রজীবনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন রিজভী। পরে ছাত্রদলের সভাপতি হন তিনি।