খালেদার আরেক সাজা স্থগিতের আবেদন
আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণে আইনি বাধা দূর করতে আরও একটি মামলায় দ- স্থগিতের আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজা দিয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগেই চেম্বার জজ আদালতে জমা পড়ল সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আবেদন।
সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এই আবেদন করেন বিএনপি নেত্রীর অ্যাডভেকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন। আগের দিন তারা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া সাত বছরের দ-ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
এই দুটি মামলায় দ- স্থগিতের ওপর নির্ভর করবে খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না। সংবিধান অনুযায়ী দুই বছরের দ- হলেও কেউ ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দ- স্থগিত করতে পারলেই কেউ ভোটে আসতে পারবেন।
এই দুটি আবেদনের ওপর শুনানি এখনও হয়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে করা দুই মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানিয়েছেন, তারা শুনানির জন্য প্রস্তুত।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের কারাদ- এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয় খালেদা জিয়ার। গত ৩০ অক্টোবর এই মামলার আপিল শুনানি শেষ করে জরিমানা বহাল এবং কারাদ- দ্বিগুণ করে ১০ বছর করে হাইকোর্ট।
এর আগের দিন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেত্রীর সাত বছরের কারাদ- হয়।
দ-িত খালেদা জিয়ার ভোটে আসা অনিশ্চিত হলেও তার পক্ষে ফেনী-১ এবং বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে।
উচ্চ আদালতে আপিল করার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘দ- স্থগিতের আবেদন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জামিন আবেদন করা হয়েছে।’
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালত থেকে রায় ঘোষণার দিন থেকেই খালেদা জিয়া কারাগারে বন্দি। নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে তাকে। মাঝে এক মাস তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রাখা হয়।
ঢাকাটাইমস/১৯নভেম্বর/এমএবি/ডব্লিউবি