পত্রিকার প্রার্থী তালিকা মনগড়া: কাদের

প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ২০:৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম ঘোষণার আগে কারও নিজেকে প্রার্থী ঘোষণার সুযোগ নেই-সাফ জানিয়ে দিলেন ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে প্রার্থী তালিকা এসেছে, সেটির সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই। এগুরো বানোয়াট।

সোমবার বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।   
গত কয়েক দিন ধরে বেশ কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী এলাকায় নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা দিচ্ছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও বেশ কিছু নাম আসছে যাদেরকে দল নির্বাচন করেছে বলে বলা হচ্ছে।

কাদের বলেন, ‘ইসিতে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৭ নভেম্বর। এর আগেই জানিয়ে দেওয়া হবে। অফিশিয়ালি জানানোর আগে কেউ মনোনীত প্রার্থী দাবি করতে পারবে না।’

‘জোটগত ভাবেই প্রার্থীর প্রকাশ করা হবে। মনোনয়ন নিয়ে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তালিকা মনগড়া, এগুলোর বাস্তবসম্মত ভিত্তি নেই।’
‘আচরণবিধি লংঘন করেছেন তারেক’

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনী বিধির লংঘন করেছেন বলে আবার অভিযোগ করেন কাদের।

আগের দিনই এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায় আওয়ামী লীগ। তবে ইসির পক্ষ থেকে জানাননো হয়েছে, এ বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই।

তবে কাদের বলেন, ‘হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কোনে অপরাধী প্রচার প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে না। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দিকে তাকিয়ে আছি।’

এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের যাবেন কি না জানতে চাইলে বলেন, ‘দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানানো হবে। নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো প্রতিকার না পেলে আমরা জনতার আদালতে বিচার দেব।’

ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে বিএনপি ভোট বানচালের পায়তারা করছে বলেও অভিযোগ কাদেরের। বলেন, মনোনয়ন সংগ্রহের নামে সারাদেশ থেকে তাদের নেতাকর্মীর পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের জড়ো করে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। ২০ জনের মত পুলিশ আহত হয়ে হাসপাতালে।

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে দলটির মহাসচিব মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগ নিয়েও কথা বলেন কাদের। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়ার চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন তিনি।

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বিএনপি অধিকাংশ নেতাকর্মী কোনো না কোনো অপরাধে জড়িত। আগুনসন্ত্রাস, বাসপোড়ানো, ভূমি অফিসে আগুন, গাছ কাটা, রাস্তা কাটা এগুলো তাদের কাজ। তারা এগুলোর সঙ্গে জড়িত।’

‘যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে আইনের দৃষ্টিতে এরা নিরাপরাধ নয়।  এরা কি একেবারে ধোঁয়া তুলসী পাতা? কাদেরকে বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এটা প্রমাণ করুন।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ- দপ্তর বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহীসদস্য মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।