বাগেরহাট-২

শেখ তন্ময়কে নিয়ে আশায় আ.লীগ

বাগেরহাট প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ২০ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:৪৪

তফসিল ঘোষণার পর থেকে বাগেরহাট-২ (সদর) আসনে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এই আসনটিতে বিগত নির্বাচনগুলোতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়ে আসছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

কে হচ্ছেন এই আসনে বড় দুই দলের প্রার্থী এটাই এখন এখানকার আলোচনার মূল বিষয়। গত কয়েক দিন ধরে চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন স্থানের আড্ডায় এই আলোচনা চলছে। তবে সাধারণ ভোটাররা চাইছেন রাজনৈতিক দলগুলো এই আসনে শিক্ষিত, সৎ ও যোগ্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দেবে।

বাগেরহাট সদর ও কচুয়া উপজেলা নিয়ে বাগেরহাট-২ আসন গঠিত। এই আসনটিতে রয়েছে একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভাসহ ১৭টি ইউনিয়ন। প্রায় তিন লাখ মানুষের বসবাস এই আসনে। বিগত কয়েকটি নির্বাচনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই আসনটি জাতীয় নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।

এই আসনে ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৮১ হাজার ৬৯১। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৪১ হাজার ৭৭০ এবং নারী ভোটার এক লাখ ৩৯ হাজার ৯২১ জন।

এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের মীর শওকাত আলী বাদশা। ১৯৯১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পাঁচটি সংসদ নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এই আসন থেকে তিনবার আওয়ামী লীগ আর দুইবার বিএনপির প্রার্থীরা বিজয় হয়েছেন। আর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হন। বাগেরহাট-২ আসনটি এখন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে মনে করছেন দলটির নেতাকর্মীরা। আগামী নির্বাচনেও এই আসন ধরে রাখতে চায় ক্ষমতাসীনরা। আর বিএনপি মনে করে এই আসনে তাদের শক্ত অবস্থান রয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে এই আসনটি তারা পুনরুদ্ধার করতে পারবে।

এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আছেন বর্তমান এমপি মীর শওকাত আলী বাদশা, বঙ্গবন্ধুর নাতি শেখ সারহান নাসের তন্ময়, সাবেক এমপি মীর সাখাওয়াত আলী দারু’র স্ত্রী ফরিদা আক্তার বানু লুচি। তবে বঙ্গবন্ধুর নাতিকে নিয়ে এখানে আশা দেখছে আওয়ামী লীগ।

অন্যদিকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী এটি এম আকরাম হোসেন তালিম, সহসভাপতি ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত মনিরুল ইসলাম খান।

সাংগঠনিকভাবে বাগেরহাটে আওয়ামী লীগ যেকোনো সময়ে চেয়ে অনেক শক্তিশালী। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এখন অনেক বেশি চাঙা। অন্যদিকে জেলা বিএনপিতে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের কোন্দল অনেকটাই প্রকাশ্যে। দীর্ঘদিন ধরে কর্মসূচি দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে।

সাংসদ মীর শওকাত আলী বাদশা ঢাকা টাইমসকে বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে পরপর দুইবার এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- করেছি। দলের সাংগঠনিক অবস্থা যেকোনো সময়ের থেকে শক্ত ও মজবুত। গত দশ বছরে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আগামী নির্বাচনে এই আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছি। এরপরেও দলের স্বার্র্থে এই আসন থেকে অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে একজন কর্মী হিসেবে তাকে নিয়ে মাঠে নেমে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করব।

বাগেরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে প্রহসনের নির্বাচন চলছে। এটা কোন নির্বাচন নয়, সিলেকশন। এই সরকার আবারো সিলেকশনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। একারণে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এই আসনে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।’ অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপির প্রার্থী এই আসন থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে বলে মনে করেন তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

বাংলাদেশে একদিন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবেই, তখন আ. লীগ থাকবে না: আমিনুল হক

উপজেলা নির্বাচন ঘিরে তৃণমূল আ.লীগে বাড়ছে দ্বন্দ্ব

সরকারের এমপিরা ঘোষণা দিয়ে লুটপাট শুরু করেছে: এবি পার্টি

বদরের চেতনায় লড়াই অব্যাহত রাখার আহ্বান ছাত্রশিবির সভাপতির

আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের

বিএনপির ভারত বিরোধিতা মানুষের কষ্ট বাড়ানোর নতুন সংস্করণ: নাছিম

ভোট ডাকাত সরকারকে সমর্থনকারী দেশের পণ্য বর্জন ন্যায়সঙ্গত: রিজভী

১১ মামলায় আগাম জামিন পেলেন বিএনপি নেতা বকুল

বর্তমান সরকার ভারতের অনুগ্রহে ক্ষমতায় বসে আছে: সাকি

জিয়াউর রহমান উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করে: ওবায়দুল কাদের

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :