বিভাগের নাম পরিবর্তন নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে রাবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০১৮, ২১:৪১

রাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থ ও তড়িৎ প্রকৌশল (এপিইই) বিভাগ ও ইলেক্ট্রনিক ও ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নামকরণ ও দুই বিভাগ একিভূত করার দাবির পক্ষে-বিপক্ষে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন বিভাগগুলোর শিক্ষার্থীরা।

এর আগে সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন ফলিত পদার্থ বিভাগ শিক্ষার্থীরা।

তবে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর বিভাগ একীভূতকরণ না করার দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন ইলেক্ট্রনিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এর পরেই প্রথম বিজ্ঞান ভবনের সামনে মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান নেন তারা। এছাড়া দুইটি বিভাগের শিক্ষার্থীরাই সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কথা জানান।

ইইই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দেশের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে তিন বছর আগে ইইই এ বিভাগটি রাবিতে নতুন চালু হয়েছে। চালুর পর থেকে আমরা মেধারভিত্তিতে ভর্তি হই। দুই বিভাগের সিলেবাস এক নয়। তাই দুই বিভাগকে একত্রিকরণ করাটা অযৈাক্তিক বলে দাবি করেন। এপিইই বিভাগের সঙ্গে ইইই বিভাগ একত্রিকরণ করা হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।

অন্যদিকে এপিইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বিভাগকে একত্র করা হলেও রাবিতে কেন হবে না। আর দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন তারা।

এদিকে ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি প্রফেসর মো. আরিফুল ইসলাম নাহিদ জানান, বিভাগের একাডেমিক মিটিং সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই বিভাগকে একত্রিকরণের দাবি জানিয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. আবু জাফর মু. তৌহিদুল ইসলাম জানান, দেশের প্রয়োজনে ইউজিসির অনুমোদনে সাপেক্ষে রাবিতে ইইই বিভাগ খোলা হয়েছে। তাই এটি অন্য বিভাগের মত একটি স্বয়ংসম্পন্ন। এর সঙ্গে অন্য বিভাগকে সমকক্ষ মনে করাটা একেবারেই অযৈাক্তিক। এমনকি দুই বিভাগকে একত্রিকরণ করাটা ঠিক হবে না বলে মনে করেন তিনি।  

মুখোমুখী অবস্থান নিয়ে আন্দোলনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান বলেন, আন্দোলনরত দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদেরই ক্লাসে ফিরে যাওয়ার জন্য বলেছি। কারণ এটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে অচিরেই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান।

(ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)