নারায়ণগঞ্জ-১

এরশাদে পাল্টে গেছে সমীকরণ

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০১৮, ১১:২৩ | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৮, ১১:২৪

আতাউর রহমান সানী, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় টানা তৃতীয় জয়ের আশায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী যখন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন, তখন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আসনটি দাবি করেছেন। আর জোটের দ্বিতীয় প্রধান শরিক দলের চেয়ারম্যান হঠাৎ আসনটিতে ভোটে আগ্রহ প্রকাশ করায় পাল্টে গেছে সমীকরণ। এখানে নৌকা নাকি লাঙ্গলের প্রার্থী থাকছেন-এটি এখন বড় জিজ্ঞাসা হয়ে উঠেছে।

শিল্প প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা বাণিজ্যের কারণে এই আসনটি বরাবর আলোচিত। পাশাপাশি দেশের সবচেয়ে বড় পরিকল্পিত শহর পূর্বাচল গড়ে উঠায় এটি এবার আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এখানকার জমির দামও আশেপাশের এলাকার তুলনায় বেশি।

২০০৮ সাল থেকে দুই মেয়াদে এখানকার সংসদ সদস্য শিল্পপতি গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি এবার আগেভাগেই নেমেছেন ভোটের প্রচারে। আর মাঠও অনেকটা গুছিয়ে এনেছিলেন।

তবে আসনটি থেকে মনোনয়ন কিনেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম। আর দলীয় প্রধানের জন্য মাঠে নেমেছে গেছেন লাঙ্গল প্রতীকের সমর্থকরাও। তারা প্রচার করছেন আসনটি এবার এরশাদই পাবেন।

তবে আওয়ামী লীগ কেন এখানে ছাড় দেবে সেই প্রশ্ন তুলছেন গোলাম দস্তগীর। তিনি বলেন, ‘আবার জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগণের জন্য কাজ করতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দলকে চাঙ্গা রাখতে এবং দলীয় সকল কার্যক্রম চালিয়ে রাখতে যা যা দরকার আমি সব কিছু করে যাব। জামায়াত-বিএনপির নাশকতা ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আগামীতে আবারও নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনব।’

এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম তোলা হয়েছে মোট ৩২ জন। বর্তমান সংসদ সদস্য ছাড়া অন্যদের মধ্যে আছেন শাহজাহান ভুইয়া, আব্দুল হাই, রফিকুল ইসলাম রফিক, তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, শেখ সাইফুল ইসলামও এলাকায় সক্রিয়। বাকিরা তেমন পরিচিত নয়।

বিএনপি থেকে তুলেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বিএনপি চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকার, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া দিপু, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান হুমায়ান।

 বিএনপি ভোটে আসার ঘোষণা দিলেও নারায়ণগঞ্জে নেতা-কর্মীদের প্রকাশ্য তৎপরতা এখনও শুরু হয়নি। দলের বহু নেতা-কর্মী নাশকতার মামলার আসামি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তারা ভোট চাচ্ছেন মূলত ফেসবুকে।

উপজেলা বিএনপি তিনভাগে বিভক্ত। এক অংশের নেতৃত্বে আছেন মুস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া দিপু এবং অন্য দুই অংশের নেতৃত্বে তৈমুর আলম খন্দকার ও কাজী মনিরুজ্জামান মনির। দলীয় কর্মসূচি তারা পালন করেন আলাদাভাবে।

তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, বর্তমান সরকার বাকশাল কায়েম করছে। ‘এ সরকারের কর্মকা-ে জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। আগামী নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন দিলে অব্যশই এ আসনটি ভোটের মাধ্যমে ছিনিয়ে আনব।’