রংপুরে আ.লীগ-জাপা টানাটানি

রফিকুল ইসলাম রফিক, রংপুর
 | প্রকাশিত : ২১ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:৩৪

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুরের ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে কমপক্ষে ৫টি আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে দলের নেতাদের দাঁড় করাতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে রংপুর-৬ যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্বশুরবাড়ি, তাই তাকে সেখানে ছাড় দিতে আপত্তি নেই।

যদিও স্থানীয় আওয়ামী লীগ মনে করে, অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় আওয়ামী লীগ এই জেলায় শক্তিশালী। দৃশ্যমান অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আর বর্তমান সংসদ সদস্যদের বেশির ভাগ নৌকা মার্কার। তারা ছয়টির মধ্যে চারটি চান।

রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন মনে বলেন, ‘রংপুর হচ্ছে এরশাদের বাড়ি। এই এলাকার মানুষ তিনি। তার প্রতি এই অঞ্চলের মানুষের আলাদা দরদ রয়েছে। জনপ্রিয়তা রয়েছে। আমরা রংপুরের ছয়টি আসনের ছয়টিই দাবি করছি। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুর-৬ আসন থেকে নির্বাচন করবেন, তাই দলের হাইকমান্ড সেটি বিবেচনা করতে পারেন। কিন্তু বাকি পাঁচটি আসন আমরা কখনোই ছেড়ে দিতে চাই না।’ রংপুর-১ গঙ্গাচড়া আসনে জাতীয় পার্টি থেকে একমাত্র প্রার্থী হয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি বর্তমান সংসদ সদস্য। এর আগেও তিনি এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এই আসনটি ১৯৯১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত জাতীয় পার্টির দখলে। যদিও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন।

বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে রংপুর-২ আসন। এই আসনে বর্তমান সাংসদ আওয়ামী লীগের ডিউক চৌধুরী। আসনটি কোনোভাবেই ছাড় দিতে চায় না জাতীয় পার্টি।

এখান থেকে জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য আনিছুল ইসলাম ম-ল, আসাদুজ্জামান চৌধুরী সাবলু, মোকাম্মেল হক চৌধুরী দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন। তবে দল কাকে মনোনয়ন দেবে, তা নিশ্চিত না হলেও জাপা মনে করে, মহাজোট এই আসনটি তাদের ছেড়ে দেবে।

রংপুর সদর ও সিটি করপোরেশন নিয়ে রংপুর-৩ আসন। এই আসনটি থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নির্বাচন করেন। তাই আওয়ামী লীগ এই আসনে তাকে ছাড় দিয়ে দেবে। যদিও এখান থেকে প্রার্থী হতে চান ক্ষমতাসীন দলের চৌধুরী খালেকুজ্জামান।

কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলা নিয়ে রংপুর-৪ আসন। এই আসনটিও একসময় জাতীয় পার্টির দখলে থাকলেও ২০০৮ ও ২০১৪ সালে জেতেন আওয়ামী লীগের টিপু মুন্সি। কিন্তু এই আসনটি এবার ছাড়তে চায় না জাতীয় পার্টি। দলীয় মনোনয়ন নিয়েছেন সিরাজুল ইসলাম ভরসা ও মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল। মিঠাপুকুর উপজেলা নিয়ে গঠিত রংপুর-৫ আসনে গত দুই নির্বাচনে জিতেছেন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান। ২০০১ সাল পর্যন্ত আসনটি জাতীয় পার্টির দখলে ছিল।

এই আসনে একমাত্র প্রার্থী জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ফখর উজ জামান জাহাঙ্গীর। তিনিই মহাজোট থেকে প্রার্থী হবেন বলে স্থানীয় জাতীয় পার্টি মনে করে।

পীরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে রংপুর-৬ আসন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্বশুরবাড়ি এই উপজেলায়। ২০০১ সালে এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনি। তবে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে তিনি জেতেন। এবারও এখান থেকে তিনি নির্বাচন করবেন। তাই তার সম্মানে এখানে জাতীয় পার্টি অনেকটাই নমনীয়। যদিও জাপার দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নুর আলম যাদু।

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

দুর্নীতি ও ভোটাধিকার হরণ ছাড়া আ.লীগের আর কোনো অর্জন নেই : এবি পার্টি

‘দেশে ইসলামবিদ্বেষী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে’

ক্ষমতাসীনদের কেউ ভালো নেই: গয়েশ্বর

সিন্ডিকেটকে কোলে বসিয়ে বিরোধীদলের ওপর দায় চাপাচ্ছে সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ

ইফতার পার্টিতে আল্লাহ-রাসুলের নাম না নিয়ে আ.লীগের গিবত গায়: প্রধানমন্ত্রী

বাংলার মাটি থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই: ওবায়দুল কাদের

দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা চাইলেন মঈন খান

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী: আ.লীগের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী

জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় চরমোনাই পীরের উদ্বেগ 

শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বস্তরে কুরআনের শিক্ষা চালু করতে হবে: মুজিবুর রহমান

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :