শচীন দেববর্মণ সংগীত উৎসব শুরু
উপমহাদেশের কালজয়ী সংগীতশিল্পী শচীন দেববর্মণের গান নিয়ে রাজধানীর পাবলিক লাইব্রেরিতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী সংগীত উৎসব।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টায় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে এর উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
ভারত-বাংলাদেশের সংগীত ও নৃত্যশিল্পীদের অংশগ্রহণে বহ্নিশিখা এর আয়োজন করেছে। এবার নিয়ে ৫ম পঞ্চমবারের মতো হচ্ছে এ উৎসব। উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এর সভাপতি গোলাম কুদ্দুস এর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শিল্পী ফকির আলমগীর, আইএফসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শাহ এ সারওয়ার এবং ঢাকাস্থ ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক ড. নীপা চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘শচীন দেব বর্মণের প্রধান আকর্ষণ ছিল গান। তাই তিনি তার উত্তরাধিকার বিসর্জন দিয়ে গানের চরণতলে নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন। তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের ভাষা একটাইÑ এই ধরনের সংগীত উৎসবের আয়োজন করা।’ এই আয়োজনের জন্য বহ্নিশিখাকে ধন্যবাদ জানান অর্থমন্ত্রী।
আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শাহ এ সারওয়ার বলেন, ‘ফোক বা গণসংগীত সংগীতের এমনই এক ধারা, যা মানুষের চেতনার সাথে মিশে যায়। এ সংগীত মানুষের হৃদয়ের সংগীত। শচীন দেববর্মণ এই গণসংগীতকে ক্লাসিক্যাল মিউজিকের সাথে অনন্য সম্মিলন ঘটিয়েছেন। এটা এই উপমহাদেশে বিরল দৃষ্টান্ত। তিনি এই সঙ্গীতকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন।’
শাহ এ সারওয়ার বলেন, ‘আমরা গর্বিত যে এই মহান পুরুষ আমাদের বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছেন। এখানের মাটি, জল, বায়ুতে তিনি বেড়ে উঠেছেন।’
‘তার গান সর্বস্তরের মানুষের গান। এদেশের মানুষ যতদিন বেঁচে থাকবে, বাঙালি যতদিন বেঁচে থাকবে, তিনিও মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।’
অনুষ্ঠানে ফকির আলমগীর বলেন, ‘শচীন দেববর্মণের গানে উঠে এসেছে আমাদের সাধারণ মানুষের হাসিকান্না। তার গানে ফুঁটে উঠেছে গ্রামবাংলার প্রকৃতি, গ্রামবাংলার জীবন। তিনি দেশে বিদেশে অনেক গান করেছেন, তবু বাংলাকে ভুলে যাননি।’অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে ভারত ও বাংলাদেশের খ্যাতনামা শিল্পীরা সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন। বহ্নিশিখা পরিবেশন করে- তুমি আর নেই সে তুমি....., নিটল পায়ের রিনিক ঝিনিক দুটি গান।
একক সংগীত পরিবেশন করেন চন্দনা মজুমদার, তানসেন রহমান, সন্দীপন। ভারতের আসাম থেকে আগত মঞ্জুশ্রী দাস ও তার দল একক ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন। এছাড়া ভারতের আসাম থেকে আগত সৌমিত্র শংকর ড্যান্স গ্রুপ নৃত্য পরিবেশন করে।
ঢাকাটাইমস/২৩নভেম্বর/ডিআর/ইএস