রেললাইনে কাপড়ের ব্যবসা, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:০০ | প্রকাশিত : ২৬ নভেম্বর ২০১৮, ১৪:৪৬

উত্তরের জেলাগুলোকে জেকে বসতে শুরু করেছে শীত। শীতের কারণে কাপড়ের দোকানগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে ক্রেতাদের ভিড়। তবে গরীবরা ভিড় জমিয়েছেন ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে। তাদের চাহিদা বিবেচনায় রেল স্টেশনে বসেছে গরম পোশাকের দোকান।

সৈয়দপুর শহরের ২ নং রেল ঘুমটি থেকে ১ নং রেল ঘুমটি পর্যন্ত রেল লাইন ঘেষে বসেছে গরম কাপড়ের দোকান। এসব দোকানে দিন রাত ভীড় জমছে ক্রেতাদের। সকাল থেকে মধ্যরাত অবধি এসব দোকানে চলে ক্রেতাদের আনাগোনা। ট্রেন চলাচলের প্রধান লাইনটিতে অবাধে দোকান বসায় যেকোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানায়, প্রতিনিয়ত ক্রেতা-বিক্রেতার জমজমাট অবস্থান থাকে এসব কাপড়ের দোকানে। বিশেষ করে ট্রেন যাতায়াতের সময়ও লাইন থেকে ক্রেতাদের ভীড় সরানো দূরহ হয়ে পড়ে। অনেক সময় ট্রেন আসতে দেখে বিক্রেতারা সম্মিলিতভাবে চিৎকার করে ক্রেতাদের লাইন থেকে সরে যেতে বলেন।

এতে হঠাৎ ক্রেতাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। এতে অনেকে রেল লাইনের উপর পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। রাতের বেলা এ পরিস্থিতি আরো প্রকট আকার ধারণ করে। এর ফলে বড় ধরণের প্রাণহাণির আশঙ্কা থাকলেও সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ ও পিডাব্লু কে ম্যানেজ করে একটি চক্র এ দোকানগুলো বসিয়েছেন।

বিক্রেতাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। প্রায় প্রতিদিনই দোকানদারদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করা হয়। এ কারণে বিক্রেতাদের মধ্যে রেল লাইনে দোকান বসানোর আইনী বাধা থাকা না থাকা নিয়ে কোন ভ্রুক্ষেপ নাই।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানান, রেল লাইনের উপর দোকান বসানো ঠিক না। তবে এ ঘটনা এবারই প্রথম বা সৈয়দপুরেই একমাত্র নয়।

তিনি সান্তাহার, বগুড়া, জয়পুরহাট, পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন গরম কাপড় তথা পুরাতন কাপড়ের দোকান বসার উদাহরণ টেনে বলেন, এসব দোকান সরানোর দায়িত্ব মূলত: পিডাব্লু’র। তারা প্রয়োজনে সহযোগিতা চাইলে আমরা তাদের সহযোগিতা করবো। এককভাবে জিআরপি পুলিশ দোকান উচ্ছেদে নামলে হিতে বিপরীত হতে পারে। এজন্য স্থানীয় প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে বলেও মত দিলেন তিনি।

এ বিষয়ে পিডাব্লু সৈয়দপুর শাখার সুলতান মৃধা জানান, রেল লাইনে দোকান বসানোর বিষয়টি সত্যিই উদ্বেগের। কিছুদিন আগে এসব উচ্ছেদ করা হয়েছে। আবারো যদি দোকান বসানো হয় তাহলে আজই জিআরপি’র ওসিকে চিঠি দিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি ব্যবসায়ীদের কাছে টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

ঢাকা টাইমস/প্রতিনিধি/ওআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :