‘ভোটে দাঁড়ানো হবে না’ খালেদার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:৪৪ | প্রকাশিত : ২৭ নভেম্বর ২০১৮, ১৪:৩৮

দুর্নীতির মামলায় বিএনপির পাঁচ নেতার দণ্ড স্থগিত চেয়ে বিএনপির পাঁচ নেতার করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। আর এসব মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী জানিয়েছেন, এই আদেশের ফলে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিতরা নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না। ফলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ভোটের বাইরেই থাকতে হবে।

পাঁচটি আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। আদেশের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, কারও দুই বছরের বেশি সাজা হলে সেই দ- উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

তবে বিএনপি নেতার এক আইনজীবী জানিয়েছেন, তারা এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। তবে অতীতে একাধিক প্রার্থী সাজাপ্রাপ্ত হয়েও নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন আর তাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ এসেছে উচ্চ আদালত থেকেই।

সংবিধানের এই বিধানটি বিচারিক আদালতের রায়ের পরেই কার্যকর হবে নাকি উচ্চ আদালতে চূড়ান্ত মীমাংসার পর, সেটি নিয়ে বিতর্ক ছিল। তবে উচ্চ আদালতের রায়ে সেটার মীসাংসা হলো বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘(খালেদা জিয়ার ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ) একদম থাকছে না। একথা তো আমি আগেও বলেছি। উনি সম্পূর্ণ খালাস পেলে অথবা সেনটেন্সড বাতিল করে দিলে, তখন উনি পারবেন। আজকের আদেশে এটা আরও পরিষ্কার হল। এই আদেশটা সবার ওপরে বাইন্ডিং। সবার ওপরে প্রতিফলিত হবে এবং নির্বাচন কমিশনও এই আদেশের পর্যবেক্ষণের বাইরে কোনো আদেশ দিতে পারবে না।’

বিএনপির অবশ্য মনে করে তাদের নেত্রীর ভোটে দাঁড়ানোর যোগ্যতা আছে। আর ফেনী-১ এবং বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে তাকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি।

অযোগ্য হচ্ছেন আরও পাঁচ নেতা

সাজা স্থগিত চেয়ে আবেদনকারী বিএনপির পাঁচ নেতা হলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী আমান উল্লা আমান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ওয়াদুদ ভুঁইয়া ও আব্দুল ওহাব ও এ কে এম ফখরুল ইসলাম।

আদালতে আমান উল্লাহ আমানের পক্ষে শুনানি করেন জাহিদুল ইসলাম। জাহিদ হোসেনের পক্ষে ছিলেন রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আহসানুল করীম ও খায়রুল আলম চৌধুরী। ওয়াদুদ ভুঁইয়া ও আব্দুল ওহাবের পক্ষে ছিলেন রফিক-উল-হক ও এ কে এম ফখরুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।

আদেশের পরে খায়রুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘পাচঁজন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন সাজা ও দ- স্থগিত করার জন্য। এই উদ্দেশ্যে যে, যাতে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। আদালত সব পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে পাচঁটি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে।’

‘আদালত দুইটি গ্রাউন্ডে এ আবেদন বিবেচনার যোগ্য নয় বলে উল্লেখ করেছে। আদালত বলেছে, ৪২৬ সেকশন অনুযায়ী সেনটেন্সড স্থগিত করা যায়। কিন্তু কনভিকশন স্থগিত করা যায় না। দ্বিতীয়ত সংবিধানের ৬৬ এ বলা আছে, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারবে না। এ বিবেচনায় আদালত খারিজ করে দিয়েছে।’

এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা হবে জানিয়ে এই আইনজীবী বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত হয়ে নির্বাচন করা যায় ভারতসহ বিভিন্ন দেশের নজির দেখিয়েছি। যেখানে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :