‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তিকে তুলে ধরতে হবে’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গণমাধ্যমকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি এবং যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সঙ্গে আঁতাত করেছেন তাদের বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাগো বাংলা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘আসন্ন নির্বাচন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সংলাপে এ মন্তব্য করেন তারা।
সংলাপে অর্থনীতিবিদ ড. ইব্রাহিম খালেদ বলেন, সাংবাদিকতায় নিরপেক্ষতা বলতে কিছুই নেই, সাংবাদিকতা হতে হবে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপি বলে বেড়াচ্ছে, গণতন্ত্র বিলীন হয়ে গেছে। কিন্তু তাদের সরকারের আমলে যে ধরনের হত্যাযজ্ঞ হয়েছিলো, সেগুলোতে কী গণতান্ত্রিক ধারা বজায় ছিলো। তবে আওয়ামী লীগের আমলেও গণতান্ত্রিক সুশাসনের অভাব দেখা গেছে এবং ব্যাপক ব্যাংক লুট হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের সময় আপনাদের উচিৎ, উভয় দলের চিত্র তুলে ধরা, যেন মানুষ ভালোটা খুঁজে নিতে পারে।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন-অর রশিদ বলেন, ‘বিএনপির নতুন উপসর্গ হয়েছেন মান্না-ড. কামাল। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম ধরে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তারা এমন জোট করেছেন যে, বিজয়ী হলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, বলতে পারছেন না। যদি তার কোনোক্রমে নির্বাচনে জয়ী হন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক জিয়া।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, যারা একাত্তরের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার পরও স্বীকার করেন না, তাদেরকে আগামী নির্বাচনে মানুষ বয়কট করবে। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি কখনো ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
সুভাষ সিংহ রায় বলেন, ড. কামালরা নির্বাচন সুষ্ঠু চান না, তারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চান। সংলাপে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা শাহে আলম মুরাদ, মুক্তিযোদ্ধা খাঁন এম হোসেন, গোলাম কুদ্দুস, মোহাম্মদ আলী শিকদার প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/২৭নভেম্বর/এআর)