বোমা মেশিনে বালু উত্তোলন, অল্পে রক্ষা ট্রেনযাত্রীদের

লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেললাইনের পাশ থেকে বোমা মেশিন দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী মহল। এতে বুধবার সকাল ৮টার দিকে লালমনি-বুড়িমারীগামী কমিউটার ট্রেনটি বড় দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পায়। ফলে বহু যাত্রী প্রাণে রক্ষা পান। তবু পাঁচ যাত্রী আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের পূর্বদৈলজোড় এলাকায় একটি পুকুরে বোমা মেশিন বসিয়ে প্রায় দুই বছর ধরে অবাধে বালু উত্তোলন করছেন বানভাসা এলাকার নুরজ্জামান আহমেদের পুত্র সোহাগ। ওই পুকুরটির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে লালমনি-বুড়িমারী রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। সেই রেললাইন থেকে মাত্র ১শত গজ উত্তরে বোমা মেশিন বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে রাখা হচ্ছে রেলওয়ের জমি উপর। এ কারণে বুধবার সকালে সেখান থেকে বালুবোঝাই একটি ট্রাক রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রাকের চাকা বিকল হয়। ওই সময় লালমনি-বুড়িমারীগামী কমিউটার ট্রেনটি ট্রাকে ধাক্কা দিলে রেললাইনের উপরে ট্রাকটি দুমরে-মুচরে যায়। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার কবল থেকে কমিউটার ট্রেনটি রক্ষা পেলেও ট্রাকচালক, হেলপার, শ্রমিকসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়।

অভিযুক্ত বালু ব্যবসায়ী সোহাগ বলেন, ‘আমি আমার বাপের সম্পত্তি থেকে বালু তুলছি। এতে কারও কিছুই করার নেই। আমি শুধুমাত্র রেলওলের জায়গায় বালু রাখছি।’

সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান বলেন, ‘এলাকাবাসীর অভিযোগে ইউএনও স্যার নিজেই গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছেন। তারপর আবারও মেশিন লাগিয়েছে, বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি।’

এ ব্যাপারে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশাদুজ্জামান বলেন, ‘লালমনি-বুড়িমারীগামী কমিউটার ট্রেনটি দুর্ঘটনার কথা শুনে ঘটনাস্থলে সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছি। তার বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে বালু ব্যবসায়ী সোহাগের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৮নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)