জামায়াতেও মুক্তিযোদ্ধা আছে: বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:৩২ | প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:২৭

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র ধরা জামায়াতে ইসলামীতেও মুক্তিযোদ্ধা আছে-বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত দুই জনের সন্তান এবং একজনের ভাইকে মনোনয়ন দেয়ার বিষয়ে বলতে গিয়ে এই প্রসঙ্গ তোলেন বিএনপি নেতা।

এবার চট্টগ্রাম-৬ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন ফাঁসি হওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ভাই গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী। জয়পুরহাট-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আরেক মানবতাবিরোধী অপরাধী আবদুল আলীমের ছেলে ফয়সাল আলীম।

আরেক দণ্ডিত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদীকে পিরোজপুর-১ আসনে ছাড় দিয়েছে বিএনপি। আবার মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরা জামায়াতে ইসলামীকে এবার ধানের শীষ প্রতীক দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। নজরুল ইসলাম খান বলছেন, জামায়াতের প্রতীক পাওয়াতে তিনি কোনো সমস্যা দেখছেন না। বলেন, ‘আমরা তো বলেছি কোনো যুদ্ধাপরাধীকে আমাদের প্রতীক দেব না। কেউ যুদ্ধাপরাধ না কইরা থাকলে তাকে দিতে অসুবিধা কী? জামায়াতের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাও আছেন।’

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে যে কয়টি দল দখলদারদের সঙ্গে হাত মেলায়, তার একটি জামায়াত। সে সময় পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের আমির গোলাম আযম পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সমর্থন করতে রেডিওতে ভাষণ দেন। জামায়াতের নেতা-কর্মীরা গড়ে তোলে রাজাকার বাহিনী। তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘ গড়ে তোলে আলবদর বাহিনী, যারা বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছে।

যুদ্ধাপরাধের দায়ে এরই মধ্যে আলবদর বাহিনীর শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মীর কাসেম আলী, মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। ঝুলেছেন আবদুল কাদের মোল্লাও। আরও দুই নেতার ফাঁসির দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল চলমান। আর আমরণ কারাদণ্ড ভোগ করছেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া গোলাম আযম মারা গেছেন বন্দী অবস্থায়।

১৯৯৯ সালে জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয় বিএনপি। এ পর্যন্ত দুটি নির্বাচন তারা করেছে একসঙ্গে। একটি বর্জনও করেছে দুই দল।

২০০১ এবং ২০০৮ সালে জামায়াতকে ৩৫টি করে আসনে ছাড় দিয়ে সেখানে প্রার্থী দেয়নি বিএনপি। তবে জামায়াত ভোট করেছে তাদের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায়।

তবে দলটি নিবন্ধন হারিয়েছে পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের প্রতীক ভোটে ব্যবহারেও এসেছে নিষেধাজ্ঞা। ফলে জামায়াতের দলীয়ভাবে ভোট করার সুযোগ নেই। শুরুতে দলটির প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়ানোর কথা জানালেও শেস পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে, তারা ধানের শীষেই ভোট করবে।

বিএনপির ছাড়ে জামায়াত মোট ২৪টি আসনে ধানের শীষ ব্যবহারের কথা জানিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। আরও অন্তত ১২টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে স্বতন্ত্র হিসেবে।

জামায়াতকে কতগুলো আসনে ছাড় দেয়া হচ্ছে-এমন প্রশ্নে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘একটাও ছাড়ি নাই, কিংবা একটাও ধরি নাই। কারণটা হচ্ছে, আমরা প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দিয়েছি। আমাদের ২০ দলের মধ্যে যারা নিবন্ধিত পার্টি, তাদের মনোনয়ন তারাই দিয়েছেন। যারা নিবন্ধিত না, তাদের ব্যাপারটায় আমরা চিঠি দিয়েছি।’

‘প্রত্যাহারের আগে আমরা প্রত্যেক আসনে একজন করে প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ করব। যখন আমরা প্রতীক বরাদ্দ করব, তখন আপনাদেরকে বলব কোন দলকে কয়টা আসন ধরলাম বা ছাড়লাম।’

বিএনপি এবার আট শতাধিক নেতাকে প্রার্থী হতে মনোনয়নের চিঠি দিয়েছে। তবে কতজন জমা দিয়েছেন, সেটি এখনও জানে না দল।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এটা হিসাব করে বলতে হবে। আমরা কয়েকদিন পরিশ্রম করে একটু ক্লান্ত আরকি। হিসাবটা করে জানাতে পারব।’

ঢাকাটাইমস/২৯নভেম্বর/বিইউ/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

জিম্মি নাবিকদের মুক্তির আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএনসিসি কার্যালয় সরানোর মধ্য দিয়ে কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু 

বিএসএমএমইউ উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন দীন মোহাম্মদ, বললেন ‘কোনো অন্যায় আবদার শুনব না’

সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে

বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে সমর্থন অব্যাহত থাকবে: যুক্তরাষ্ট্র

সীমান্তে নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ

ট্রেনে ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

৫০ হাজার টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :