সিইসির দুই আশা পূরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:১৬
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। ফাইল ছবি

প্রতিযোগিতামূলক ও অংশগ্রহণমূল নির্বাচনে আশা ছিল জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন তার এই দুই আশা পূরণ হয়েছে।

সিইসি বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম একটা প্রতিযোগিমূলক নির্বাচন হবে। সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম এটা অংশগ্রহমূলক নির্বাচন হবে সেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার কমিশনে সহকারী কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন নুরুল হুদা। সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা ভোটের দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের প্রশিক্ষকদের নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি-জামায়াত জোটকে এবার ভোটে নিয়ে আসা চ্যালেঞ্জ ছিল বর্তমান নির্বাচন কমিশনের। ২০১৭ সালের শুরুতে দায়িত্ব নেয়ার পর সিইসি একাধিকবার বলেছেন, কোনো দলকে ভোটে আনা কমিশনের দায়িত্ব নয়। তবে সবাই ভোটে আসবে-এ বিষয়ে বারবার আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বলেছেন।

তবে ৮ নভেম্বর ভোটের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছিল না বিএনপি ভোটে আসবে কি না। এর আগের মাসে নতুন জোট করা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আন্দোলনের কথাই জানাচ্ছিল।

তবে ১১ নভেম্বর বিএনপি এবং তার দুই জোট ঐক্যফ্রন্ট এবং ২০ দল আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটে আসার ঘোষণা দেয়। এরই মধ্যে বিএনপি এবং তার জোটের শরিকরা তিনশ আসনে এক হাজারেরও বেশি প্রার্থী দিয়েছে। ৯ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের আগে প্রতি আসনে একজন করে প্রার্থী দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বিএনপি।

এরই মধ্যে মনোনয়নপত্র জমার সময় শেষ হয়েছে। আর এই মনোনয়ন জমার সময় দেশের বিভিন্ন আসনে হাজার হাজার বিএনপি নেতা-কর্মী শোডাউন করেছেন।

সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থিরা সুশৃঙ্খলভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কোথাও কেউ আচরণবিধি অমান্য করেননি।’

‘এখন বিশ্বাসের সময় এসেছে এদেশে যারা রাজনীতি করেন যারা নির্বাচন করবেন তারা নির্বাচনের আইন-আচরণবিধি মেনে চলবেন এবং আপনাদের মাঠে কাজ করবেন তাদের সহযোগিতা করবে। এই একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে আমি আশা করি, বিশ্বাস করি।’

যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন তাদের কারণে যেন নির্বাচনী পরিবেশের ব্যাহত না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখারও আহ্বান জানান সিইসি। বলেন, ‘আপনাদের কারণে এবং যারা মাঠে কাজ করবেন তাদের কারণে যেন প্রার্থীদের আশা-আকাক্সক্ষা, প্রত্যাশা ব্যাহত না হয়। সেই দায়িত্বটা প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের জানানো আপনাদের কর্তব্য।’

‘এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। নির্বাচনের দায়িত্বের অংশীদার আপনারা, আমি (সিইসি) এবং আমরা অনেকে। ভোটার, প্রার্থী, রাজনৈতিক দল সকলের। সকলের সহযোগিতায় একটা উৎসবমূখর পরিশে ভোটের প্রত্যাশা।’

‘নির্বাচন কমিশনের বার্তা নিয়ে তাদের কাছে আপনারা যাচ্ছেন। বার্তা হলো- সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গীতে একেবারে কোনো রকমে দলমত নির্বিশেষে সকলের প্রতি সমান আচরণ, সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে নির্বাচন পরিচালনা করা। এই বার্তাটা আপনারা পৌঁছে দেবেন।’

‘যখন কেউ প্রার্থিতা নিয়ে মাঠে যাবেন, তখন কিন্তু আপনাদের কাছে তার পরিচয় হলো প্রার্থী। তখন আর তার দলের পরিচয় নেই। তার ব্যক্তি পরিচয় নেই। তার পরিচয় হলো প্রার্থী। একটি মার্কার প্রার্থী। সুতরাং সেই হিসেবে দলীয় প্রার্থী হোক, অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হোক। সকল প্রার্থীকে সমান সুযোগ দিতে হবে। এটা সকলকে বুঝাতে হবে। এটা আপনারা মাঠপর্যায়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :