ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দাবি আল্লামা মাসঊদের

প্রকাশ | ৩০ নভেম্বর ২০১৮, ১৭:৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সারাদেশের মসজিদগুলোতে ইমাম-মুয়াজ্জিন হিসেবে যারা কর্মরত তাদেরকে সরকারিভাবে ভাতা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। এছাড়া দেশের সব আলেমকে সরকারিভাবে ভাতা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার রাজধানীর হাজিপাড়ায় জুমার আগে আলেম-উলামা ও সাধারণ মুসল্লিদের উদ্দেশে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এই দাবি জানান।
আল্লামা মাসঊদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের মানবিক কারণে সরকারি ভাতার ব্যবস্থা করেছে। আলেম-উলামারাও অভাব অনটনের মধ্যে বেঁচে আছেন। তাই তাদেরও সরকারি ভাতার আওতায় আনা দরকার।’

প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে শীর্ষ এই আলেম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখনই কোনো ওয়াদা করেন তখন তা পালন করেন। কওমি মাদ্রাসা সনদের স্বীকৃতি দেওয়ার ওয়াদা প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন, সেই ওয়াদা তিনি রক্ষা করেছেন। এ জন্য সারাদেশের আলেম সমাজ প্রধানমন্ত্রীর শুকরিয়া জানিয়েছেন।’

এ সময় আল্লামা মাসঊদ প্রতিটি দলের নির্বাচনী ইশতেহারে মদিনার সনদের প্রসঙ্গ উল্লেখ থাকার দাবি জানান। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মদিনার সনদে দেশ চলার কথা বলেছিলেন সেই কথা স্মরণ করিয়ে দেন।

বিশিষ্ট এই আলেম কথা বলেন তাবলিগের চলমান দ্বন্দ্ব নিয়ে। সব পক্ষকে সংযত, ইসলামের গ-িতে থেকে আচরণের আহ্বান জানান। যারা মাওলানা সাদ কান্ধলভিকে ইসলাম থেকে খারিজ করে দিচ্ছেন তাদেরও সমালোচনা করেন।

শরিয়তে ‘ইতাআতি-ওজাহাতি’ বলে কোনো পরিভাষা নেই উল্লেখ করে আল্লামা মাসঊদ বলেন, ‘এই দুইটা শব্দই বিদয়াত। সাহাবায়ে কেরাম দাওয়াতের ক্ষেত্রে অনেক বিপদ-আপদের সম্মুখীন হয়েছেন, কিন্তু তারা তো দলে দলে বিভক্ত হয়ে যাননি। কিন্তু আমরা ইতাআতি-ওজাহাতিতে বিভক্ত হয়ে গেছি। সাহাবায়ে কেরামদের আদর্শ অনুসরণ করিনি। দাওয়াতে ক্ষেত্রে বিপদে-আপদে তারা কী করেছেন সেগুলো লক্ষ্য করিনি।’

(ঢাকাটাইমস/৩০নভেম্বর/জেবি)