শান্তি মিশনে কঙ্গো গেলেন বিমানবাহিনীর ২০২ সদস্য
প্রতিস্থাপনে কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রথম পর্যায়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বিএএফ) ২০২ জন সদস্য ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো গেছেন। মিশনে তিনটি কন্টিনজেন্টের মোট ৩৫৮ জন শান্তিরক্ষী প্রতিস্থাপিত হবে। এদের মধ্যে ১০ নারী কর্মকর্তাও থাকবেন। কন্টিনজেন্টের বাকি সদস্যরা পর্যায়ক্রমে কঙ্গো যাবেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল জানানো হয়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এই কন্টিনজেন্টগুলো ইউটিলিটি এভিয়েশন ইউনিট-১৬, এয়ার ফিল্ড সার্ভিসেস ইউনিট-১৬ ও এয়ার ট্রান্সপোর্ট ইউনিট-৯ নিয়ে গঠিত যার নেতৃত্বে থাকবেন যথাক্রমে এয়ার কমডোর এস এম মূয়ীদ হোসেন, গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. রেয়াদাদ হোসেন এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন মাহমুদ মেহেদী হুসেইন।
কঙ্গোয় বিবদমান সংঘাত নিরসনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষতা, পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে সে দেশের সরকার এবং আপামর জনসাধারণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের অর্জিত এ সুনাম ও সাফল্য অক্ষুণœ রেখে শান্তিরক্ষীরা ভবিষ্যৎ দিনগুলোতে যেন আরও উৎকর্ষ অর্জন করতে পারে, এ কামনা করে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে শুক্রবার এক মোনাজাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিমান বন্দরে উপস্থিত থেকে তাদের বিদায় জানান।
এর আগে ২৯ নভেম্বর বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত কঙ্গোগামী বিমান বাহিনী কন্টিনজেন্ট সদস্যদের উদ্দেশে ঘাঁটি বাশার-এ ব্রিফিং করেন এবং মিশনের সাফল্য কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
(ঢাকাটাইমস/০১ডিসেম্ব/জেবি)