বিজয়ের ডিসেম্বর

মুক্তির আক্রমণে পিছু হটা শুরু হানাদার বাহিনীর

বিশেষ প্রতিবেদক
 | প্রকাশিত : ০২ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:৪৩

নানান অনুষ্ঠান আর আয়োজনের মধ্য দিয়ে গতকাল উদযাপিত হয়েছে বিজয় মাসের প্রথম দিন ১ ডিসেম্বর। এ মাসের দ্বিতীয় দিনে আজকেও রয়েছে নানা আয়োজন। এর মধ্য দিয়ে জাতি স্মরণ করছে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী দিনগুলো। সেসব দিন বাঙালি জাতির অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। আর তা বারবার ফিরে এসে জানান দেবে- শোষণের বিরুদ্ধে, হানাদারদের বিরুদ্ধে বাঙালি কখনো বিফল হয়নি।

১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর মুক্তির সংগ্রামে উত্তাল ছিল বাংলার মাটি। মুক্তিবাহিনীর গেরিলা আক্রমণ থেকে সম্মুখযুদ্ধের গতি বাড়ে। আর অপ্রতিরোধ্য বাঙালির বিজয়ের পথে পাকিস্তানি বাহিনীর নিষ্ঠুর সব পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে থাকে।

সীমান্ত এলাকাগুলোতে সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করলে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় ভারতীয় বাহিনী। আর এদিকে দেশজুড়ে চলছিল প্রতিরোধ। প্রতিদিন মুক্তিবাহিনীর কাছে নাস্তানাবুদ হচ্ছিল পাক বাহিনী।

নোয়াখালী থেকে চট্টগ্রামের পথে পথে শুরু হয় সম্মুখযুদ্ধ। আখাউড়া রেলস্টেশনে চলে সম্মুখযুদ্ধ। একাত্তরের এই দিনে ময়মনসিংহ, জামালপুরসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি সেনারা।

বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে মরণপণ লড়াই করে অবরুদ্ধ দেশের অভ্যন্তরে অনেক মুক্তাঞ্চলের সৃষ্টি করেন মুক্তিযোদ্ধারা। পাকিস্তানি বাহিনী পঞ্চগড়ে রিংয়ের আকারে প্রথম ও দ্বিতীয় ডিফেন্স লাইন তৈরি করেছিল। মুক্তিযোদ্ধারা মিত্র বাহিনীর সহায়তায় গভীর রাতে পঞ্চগড় আক্রমণ করলে পাক বাহিনী পঞ্চগড় ছাড়ে।

এদিনে চট্টগ্রামে মুক্তিবাহিনী উত্তরে ফটিকছড়ি ও রাউজান থানা এবং দক্ষিণে আনোয়ারার অধিকাংশ স্থান তাদের দখলে আনতে সক্ষম হয়। ওদিকে ঘোড়াশালে পাক বাহিনীর অবস্থানের ওপর চারদিক থেকে আক্রমণ করে ২৭ হানাদারকে হত্যা করে মুক্তিসেনারা। এখান থেকে বেশকিছু গোলাবারুদও উদ্ধার করে মুক্তিবাহিনী।

এদিকে আখাউড়া, পঞ্চগড়, ভুরুঙ্গামারী, কমলাপুর, বনতারা, শমসেরনগর ও পার্বত্য চট্টগ্রামে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে প্রচ- সংঘর্ষে হনাদার বাহিনী পিছু হটে যায়। এতে মুক্তিবাহিনীর নেতৃত্ব দেন লে. মাসুদ, সুবেদার খালেক, লে. মতিন, মেজর সদরুদ্দিন ও ক্যাপ্টেন শাহরিয়ার।

মুক্তিবাহিনীর বোমায় ঢাকার রামপুরা বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র, চট্টগ্রামের পাঁচটি বিদ্যুৎ সাবস্টেশন ও দুটি পেট্রোল পাম্প বিধ্বস্ত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তে আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এলেও হানাদার বাহিনী তাদের বিপর্যস্ত অবস্থা কাটিয়ে উঠে পাল্টা আক্রমণ করে। মুক্তিবাহিনী পুনরায় তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করে তিন দিক থেকে শত্রুকে আক্রমণ করলে হানাদার বাহিনী আজমপুর রেলস্টেশন ছেড়ে পালিয়ে যায়।

অন্যদিকে ২ ডিসেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কংগ্রেসের এক কর্মিসভায় বলেন, ‘সময় বদলেছে, তিন-চার হাজার মাইল দূর থেকে তারা (পাকিস্তান) ইচ্ছামতো হুকুমনামা জানাবে, তা মেনে নেয়া যায় না।’ তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বিশ্ব বাজারে কমলেও দেশে সোনার দাম বেড়ে রেকর্ড

চলচ্চিত্র খাতে বাংলাদেশ-ভারত অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ঈদের ছুটিতে শব্দদূষণে বিরক্ত হয়ে ৯৯৯-এ ১১৭৫ অভিযোগ

মানসিকতার পরিবর্তন না হলে সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠন কঠিন হয়ে যাবে: শিক্ষামন্ত্রী

বাংলাদেশে দূতাবাস খুলতে যাচ্ছে গ্রিস

ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার

যেভাবেই হোক স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাস করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সিজারিয়ান প্রসবের ওপর বিধিনিষেধ আরোপে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ চায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

মিয়ানমার সংকট সমাধানে একজনের খুশির জন্য বাকিদের নারাজ করবে না বাংলাদেশ: সেনা প্রধান

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :