ঋণখেলাপি রেজা কিবরিয়ার প্রার্থিতা বাতিল

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:৫৪

হবিগঞ্জ-১ (বাহুবল-নবীগঞ্জ) আসনে গণফোরাম থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া রেজা কিবরিয়ার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে খেলাপি ঋণের কারণে। আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটে দাঁড়াতে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর প্রার্থিতাও বাতিল হয়েছে। জমা দেয়া মনোনয়নপত্রে সই না করাই এর কারণ।

রবিবার সকালে হবিগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক নাজিম উদ্দিন এই আদেশের কথা জানান। এই জেলার চারটি আসনের মধ্যে প্রথমে যাচাই বাছাই হয় হবিগঞ্জ-১ আসনে। এখানে প্রার্থিতা জমা দিয়েছিলেন মোট ১২ জন। এদের মধ্যে রেজা ও কেয়া চৌধুরী ছাড়া বাকি ১০ জনের প্রার্থিতাই বৈধ ঘোষণা করা হয়।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী শাহ আ স ম কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়ার এবার গণফোরামে যোগ দেয়া নিয়ে তোলপাড় হয়েছে। সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন দলটি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছে এবং তারা বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক ব্যবহার করবে।

বিএনপির শাসনামলে কিবরিয়া হত্যার পর ওই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার ছিল কিবরিয়া পরিবার। ওই সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ বেশ কয়েকজন কিবরিয়া হত্যা মামলার আসামি এবং এর বিচার চলছে।

তবে রেজা কিবরিয়া গত ১৪ বছরেও বিচার শেষ করতে না পারার আক্ষেপ থেকে আওয়ামী লীগবিরোধী জোটে যোগ দিয়ে ভোটে লড়ার কথা জানিয়েছিলেন।

গণফোরাম নেতার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করে দেয়া আদেশে অবশ্য কত টাকা খেলাপি ঋণ রয়েছে, সেটা জানানো হয়নি। এটা রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানানও না। তারা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া খেলাপি ঋণের তালিকা দেখেই কেবল আদেশ দেন।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইন অনুযায়ী খেলাপি ঋণদাতাদের ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই। প্রার্থিতা জমা দেয়ার আগের দিন যারা ঋণ পুনঃতফসিল করিয়েছেন তারাই কেবল প্রার্থী হতে পারবেন।

রেজা কিবরিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেলেও সেখানে বিএনপি জোটের প্রার্থী আছেন। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়ার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে।

বিএনপি জোটের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের দেওয়ান শাহ নেওয়াজ মিলাত গাজীর মনোনয়নপত্রও বৈধ ঘোষণা হয়েছে। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত মহাজোটের প্রার্থী হন কি না, এ নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। কারণ, জাতীয় পার্টিও আসনটি দাবি করছে। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পাওয়া আতিকুর রহমান আতিকের প্রার্থিতাও বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের সমর্থনে সংসদ সদস্য হওয়া দলটির নেতা এম এ মুনিম চৌধুরী বাবুর প্রার্থিতাও টিকে গেছে। তিনি দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটে দাঁড়াতে চাইছেন।

যাদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে তাদের অবশ্য ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ এখনও রয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করার সুযোগ আছে। সেখানেও আদেশে সন্তুষ্ট না হলে উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন বাতিল ঘোষিত প্রার্থীরা।

ঢাকাটাইমস/০২ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :