মালয়েশিয়ার কেপিজে হেলথ কেয়ারের তথ্যকেন্দ্র ঢাকায়
সবধরনের চিকিৎসার জন্য ভিসা, টিকেট, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসসহ নানান সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়ার কেপিজে হেলথ কেয়ার ঢাকার বনানীতে তথ্যকেন্দ্র চালু করেছে।
শনিবার রাতে বনানীর ১৭ নম্বর রোডের কামাল আতাতুর্ক টাওয়ারের ২২ নম্বর ভবনের অষ্টম ফ্লোরে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
এ উপলক্ষে বনানীর সারিনা হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কেপিজে মালয়েশিয়ার সিইও ও বাংলাদেশে কেপিজের প্রতিনিধি ডা. শংকর চন্দ্র পোদ্দার বলেন, প্রাথমিকভাবে কোনো ধরনের ফি ছাড়াই তথ্যকেন্দ্র থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করা হবে। তবে মালয়েশিয়ার ডাক্তারদের কাছ থেকে সেকেন্ড অপিনিয়ন হিসাবে কেউ যদি পরামর্শ নিতে চান তাহলে নামমাত্র একটা ফি দিতে হবে।’
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, একটা জটিল রোগ ধরা পড়ল আর রোগটা যদি আপনি কেপিজে থেকে কনফার্ম হতে চান, তাহলে ওই ডাক্তারকে মিনিমান একটা ফি দিতে হবে। তবে টিকেট বুকিং, ভিসা ফি, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ফিসহ সব ধরনের সার্ভিস তথ্যকেন্দ্র থেকে ফ্রি পাওয়া যাবে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মেডিকেল ভিসা দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটা ইমারজেন্সি, আরেকটা নরমাল। ইমারজেন্সি ভিসার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে আমরা ৬ ঘণ্টার মধ্যেই ঢাকার হাইকমিশন থেকে ভিসা পাওয়ার ব্যবস্থা করবো। আর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ক্ষেত্রে এক ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি। বলেন, কারণ মালয়েশিয়া সরকার কেপিজে হেলথ কেয়ার প্রোগ্রামকে টপ প্রায়োরিটি দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিঙ্গাপুর ও ব্যাংককের নাগরিকরাও এখন মালয়েশিয়ায় গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। কারণ তাদের চাইতে মালয়েশিয়ায় কম খরচে তারা উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, মালয়েশিয়ার কেপিজে হেলথ কেয়ারের প্রতিনিধি দ্বাতিন এস ফৌজিয়াহ জামালউদ্দিন, জালিফার ইয়াসমিন বিন্তি ইব্রাহিম উপস্থিত ছিলেন।
কেপিজে হেলথ কেয়ার পৃথিবীজুড়ে শতাধিক হাসপাতালের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। তার মধ্যে ২৫টি হাসপাতাল মালয়েশিয়ায়, ২০০ হাসপাতাল ইন্দোনেশিয়ায়, একটি থাইল্যান্ড ও একটি বাংলাদেশে অবস্থিত।
বাংলাদেশের গাজীপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল চার বছর ধরে বাংলাদেশে কাজ করছে বলে তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
(ঢাকাটাইমস/২ডিসেম্বর/এমএম/ইএস)