তিন মাস বেতন বন্ধ
প্রতিবাদে জেট এয়ারওয়েজের পাইলটরা
বেতন মেলেনি দু’ মাস। লাভ হয়নি চিঠি লিখেও। প্রতিবাদে নেমেছেন জেট এয়ারওয়েজের পাইলটরা। তাতে বিপাকে পড়েছে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বেসরকারি বিমান সংস্থা। এমনিতেই লোকসানে চলছে তারা। তার ওপর বিমানের পাইলটদের এমন অসহযোগিতা, বাধ্য হয়ে রবিবার ১৪টি ফ্লাইট বাতিল করে তারা।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে বিষয়টি সামনে আসার পর যদিও তা অস্বীকার করেছেন জেট কর্তৃপক্ষ। পাইলটদের শারীরিক অসুস্থতার জেরেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন তারা। সোমবার বিমান সংস্থার মুখপাত্রের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়।
তাতে বলা হয়, ‘অসহযোগিতার প্রশ্নই ওঠে না। পাইলট, প্রকৌশলীসহ সমস্ত কর্মীই বিমান সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করে চলেছেন। ২ ডিসেম্বর একাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছিল বটে। তবে তার পিছনে অন্য কারণ রয়েছে। বিমান পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। যা আগে থেকে বোঝা যায়নি। তাই ফ্লাইট বাতিল করা হয়। সময় থাকতেই মেসেজ করে যাত্রীদের তা জানিয়ে দেওয়া হয়। নিয়ম মেনে অন্য বিমানে যাত্রার ব্যবস্থা এবং টাকাও ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাদের।’ বেতন সংক্রান্ত যে সব সমস্যা রয়েছে, তা মেটাতে কর্তৃপক্ষ এবং সংস্থার কর্মীদের মধ্যে আলাপ আলোচনা জারি রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে বিবৃতিতে। কিন্তু তাদের সাফাই যুক্তিসঙ্গত ঠেকেনি। বরং প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এক সঙ্গে এত জন পাইলট অসুস্থ হয়ে পড়লেন? তা কেমন করে সম্ভব? বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়ে ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে অন্য তথ্য উঠে এসেছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে চলছে জেট এয়ারওয়েজ। টান পড়েছে নগদের জোগানে। যে কারণে পাইলট, প্রকৌশলী তো বটেই ম্যানেজমেন্টের লোকজনদের বেতন দিতেও সমস্যা হচ্ছে। আগস্ট মাস থেকে সমস্যা গুরুতর হয়েছে। সেপ্টেম্বরে আংশিক বেতন দেওয়া হয় সকলকে। কিন্তু অক্টোবর এবং নভেম্বরে কানাকড়িও দেওয়া হয়নি কাউকে। তাই নিয়ে ইতিমধ্যেই সংস্থার চেয়ারম্যান নরেশ গয়ালকে চিঠি দিয়েছেন কয়েক জন পাইলট। এভাবে কাজ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত চিঠির জবাব আসেনি। তাই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন তারা। শুধুমাত্র বিমান সংস্থাই নয়, তাদের রাগ গিয়ে পড়েছে ভারতীয় পাইলটদের সংগঠন ন্যাশনাল এভিয়েটর গিল্ডের(এনএজি) ওপরও। সংগঠনের তরফে বিমান সংস্থা কর্তৃপক্ষকে চাপ দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের।
(ঢাকাটাইমস/৩ডিসেম্বর/এসআই)