শিল্পীরা সব সময়ই রাজনীতিক: সুইটি

প্রকাশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:১৮ | আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:২৪

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনী উপকমিটি গঠন করেছে। কমিটির সভাপতি হিসেবে রয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতা হাসান মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। শোবিজ তারকাদের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন ছোট পর্দার এক সময়ের দাপুটে অভিনেত্রী তানভীন সুইটিও। তার এই রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে মুঠোফোনে ঢাকা টাইমসের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

হঠাৎ করে রাজনীতিতে এলেন কেন?

‘হঠাৎ করে’ কথাটার সঙ্গে আমি পরিচিত না। শিল্পীরা সব সময়ই রাজনীতিক। তারা হয়তো সভা সেমিনার করে দেশ বিনির্মাণে অংশ নেয় না। কিন্তু তাদের নাটক, সিনেমা, গানে দেশের কথাই কিন্তু বলা হয়। ১৯৭১ থেকে ৯০-এর গণআন্দোলন যেদিকেই তাকাবেন সেদিকেই শিল্পীদের প্রবল উপস্থিতি দেখতে পাবেন। সুতরাং হঠাৎ করে রাজনীতিতে আসিনি আমি। দীর্ঘদিন ধরেই ভেতরে ভেতরে আওয়ামী রাজনৈতিক দর্শন লালন করতাম। শেখ মুজিবুর রহমানকে লালন করতাম। এ জন্যই এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে মানুষের কাছে ভোট চাইব।

প্রচারণায় কীভাবে ভূমিকা রাখবেন?

কমিটি থেকে যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হবে সেভাবেই কাজ করে যাব। আমার সার্কেলে যারা আছেন তাদের কাছে ভোট চাইব।

আপনার সাধারণ একজন ভক্ত যদি জানতে চায়, আওয়ামী লীগের হয়ে কেন ভোট চাইছেন, উত্তরে কি বলবেন?

আওয়ামী লীগের বাংলাদেশমুখী রাজনৈতিক দর্শন প্রথম কারণ। এই দলটি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বুকে লালন করে। দ্বিতীয় কারণ হলো- বিচক্ষণ একজন প্রধানমন্ত্রীকে বার বার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চাওয়া। আমি সেদিন পদ্মাসেতুতে গিয়েছিলাম। ওখানে দাঁড়িয়ে যেকোনো সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগের হয়ে কথা বলবে। কারণ যে যেই দলের সমর্থন করুক না কেন, সবার উপরে কিন্তু বাংলাদেশ। দেশের সম্মান রক্ষার্থে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের দুঃসাহস দেখানোর মতো ইতিহাস তৈরি হয়েছে শেখ হাসিনার মাধ্যমে। আমাদের কেউ ‘চোর’ অপবাদ দিয়ে পার পাবে না- সেটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দাতাদের দেখিয়ে দিয়েছেন যে নেত্রী, তার জন্য তো অবশ্যই ভোট চাইব। শুধু পদ্মাসেতুই নয়, মেট্রোরেলও হচ্ছে। দেশের চেহারা আমুল বদলে গেছে এই সরকারের হাত ধরে।

আপনাকে কি এখন থেকে রাজনীতিতে নিয়মিত পাওয়া যাবে?

আমি তো রাজনীতিতে নিয়মিতই। একজন শিল্পীর জায়গা থেকে রাজনীতি করে যাচ্ছি। রাজনীতি আমার কাছে শিল্পের মতোই। শৈল্পিক এই রাজনীতিতে আমি সক্রিয় ছিলাম, থাকব।

অদূর ভবিষ্যতে সরাসরি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার কি কোনো ইচ্ছে আছে?

ভবিষ্যৎ ভবিষ্যতের জন্যই তুলে রাখলাম। সময়ের প্রয়োজন বলে একটা কথা আছে। আমার সমস্ত কর্মকা- সময়ের প্রয়োজনকেন্দ্রিক। সময়ের যদি আমাকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রয়োজন হয়, অবশ্যই আমি সে প্রয়োজন মেটাব।

ঢাকা টাইমস/০৪ ডিসেম্বর/আরআর/এএইচ