শরীরে কৃমির বাসা?

প্রকাশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:৫৫

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

আপনার কি প্রায়ই পেটে ব্যথা হচ্ছে? রাতে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমানোর পরও দিনে অবসাদে ভোগেন? শরীরে সারাক্ষণ একটা অস্বস্তি ভাব? এসবের কারণ হতে পারে কৃমি; কিন্তু কী করে বুঝবেন, আপনার শরীরে কৃমি বাসা বেঁধেছে কি-না?

কৃমির উপসর্গ:
১. মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়া।
২. মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া।
৩. ঘুমানোর সময়ে মুখ থেকে লালা পড়া।
৪. অকারণে ক্লান্ত লাগা।
৫. ত্বকে র‌্যাশ, চুলকানি।
৬. ক্ষুধা না লাগা।
৭. গা-হাত-পা ব্যথা
৮. অনিয়মিত ঋতুর সমস্যা।

শরীরে কৃমির সমস্যা বাড়তে রক্তাল্পতা এবং আয়রন ডেফিশিয়েন্সির আশঙ্কা বেড়ে যায়। কৃমি থাকলে শরীরে রক্তের পরিমাণ কমতে কমতে অ্যানিমিয়া পর্যন্ত হতে পারে। কৃমির জন্য স্মৃতিভ্রম হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

একাধিক গবেষণায় জানা গিয়েছে, প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষের পেটেই কৃমি থাকে। শরীরে কৃমির মাত্রা বৃদ্ধি পেলেই উল্লিখিত উপসর্গগুলো লক্ষ্য করা যায়। 
মার্কিন চিকিৎসক আব্রাম বেরের মতে, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কৃমির সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বেশ কিছু ঘরোয়া উপায়েও কৃমির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। 

কৃমির সমস্যায় ঘরোয়া সমাধান

১. কাঁচা হলুদ: কাঁচা হলুদ অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। কৃমির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে এটি খুবই কার্যকরী একটি উপাদান।

২. কাঁচা রসুন: কাঁচা রসুনে প্রায় ২০ ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ৬০ ধরনের ফাংগাস মেরে ফেলার ক্ষমতা রয়েছে। তাই নিয়মিত কাঁচা রসুন খান। উপকার পাবেন।

৩. আদা: আদা হজমের সমস্ত রকমের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। হজমের সমস্যা, অ্যাসিডিটি, পেটে ইনফেকশন, ইত্যাদি দূর করতে আদার জুড়ি মেলা ভার। কাঁচা আদার রস খান খালি পেটে। কৃমির সমস্যায় দ্রুত ফল পাবেন।

৪. পেঁপে: পেটের সমস্যা দূর করতে পেঁপে অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। যেকোনো ধরনের কৃমি সমস্যায় পেঁপের বীজ অত্যন্ত কার্যকর। কৃমির সমস্যায় দ্রুত ফল পেতে পেঁপে এবং মধু খেতে পারেন।

৫. শশার বীজ: ফিতাকৃমির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে শশার বীজ অত্যন্ত কার্যকর। শশার বীজকে শুকিয়ে গুঁড়া করে প্রতিদিন এক চা-চামচ করে খান। দ্রুত ফল পাবেন।

(ঢাকাটাইমস/৪ডিসেম্বর/এজেড)