ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:৫৬ | প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:৩৭

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীর বিচার দাবিতে আজও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন অভিভাবকরাও।

অরিত্রীকে ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনা’ দেয়া হয়েছে অভিযোগ করে বুধবার আবারও সড়কে নামে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মেয়েরা। বেইলি রোড শাখার গেটের সকাল থেকে সড়কে বসে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। নানা ধরনের প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুলটির প্রিন্সিপাল নাজনীন ফেরদৌস ও প্রভাতী শাখার প্রধান শিক্ষক জিন্নাত আরার স্থায়ী বহিষ্কার, গভর্নিং বডি বাতিল করা ও আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের উপযুক্ত আইনে বিচার করতে হবে। তাদের দাবি বাস্তবায়নে শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া আশ্বাস তিন দিনের মধ্যে বাস্তবায়িত না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এর আগে মঙ্গলবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেয় তারা বুধবার কোনো ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেবে না।

তবে আজ একটি পক্ষ আজ ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে বলে জানা গেছে। যারা আন্দোলনে অংশ নিয়েছে তাদের পরীক্ষাও পরবর্তীতে বিকল্প ব্যবস্থায় নেওয়ার কথা জানিয়েছিন গভর্নিং বডির সদস্যরা।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরে নিজের রুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে অরিত্রি। অরিত্রির স্বজনরা জানায়, অরিত্রি মোবাইল ফোনে নকল করেছেন এমন অভিযোগে শিক্ষকরা তার মোবাইল ফোন নিয়ে তাকে পরীক্ষা হল থেকে বের করে দেয়। পরে সোমবার তিনি পরীক্ষা দিতে স্কুলে গেলেও তাকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।

পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ অরিত্রির মা-বাবাকে স্কুলে তলব করে। পরে অরিত্রির বাবা-মা স্কুলে গেলে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, নকল করার জন্য স্কুল থেকে অরিত্রিকে ছাড়পত্র (টিসি) দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটানায় অরিত্রি বাসায় আত্মহত্যা করে।

অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার জন্য শিক্ষককে দায়ি করে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ করছেন অরিত্রির সহপাঠী ও অন্য শিক্ষার্থীরা।

ইতোমধ্যে মঙ্গলবার প্রভাতী শাখার প্রধান শিক্ষক জিন্নাত আরাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ নির্ণয়ে অতিরিক্ত শিক্ষা সচিবের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

চাপের মুখে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ক্ষমা চেয়েছেন, তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন।

ঢাকাটাইমস/০৫ডিসেম্বর/ওআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজধানী এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :