‘ইজতেমার ময়দানে হামলা পরিকল্পিত’

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:০৩

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে তাবলিগ জামাতের সাথী, আলেম-উলামা ও ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর যে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে এর নিন্দা জানিয়েছেন গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মহাপরিচালক ও কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গওহরডাঙ্গার চেয়ারম্যান আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন। তিনি নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন। এছাড়া নির্ধারিত সময়ে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ এই আলেম।

বৃহস্পতিবার কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গওহরডাঙ্গা আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই দাবি জানান।

মুফতি রুহুল আমীন তার বক্তব্যে বলেন, ‘মাওলানা সাদের ভ্রান্ত আকিদা মওদুদিবাদ ছাড়িয়ে গেছে। এই মতবাদ এখন বাংলাদেশে জঙ্গি ফেতনায় রূপ নিয়েছে। এখনই তাদেরকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় না আনলে দেশের আইনশৃঙ্খলা হুমকির মুখে পড়বে।’

মুফতি রুহুল আমীন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে দিবালোকে ওয়াসিফ-নাসিম গংদের ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহিনী তাণ্ডব চালিয়ে নিরীহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের রক্তাক্ত করেছে, খুন করছে। এটি একটি পরিকল্পিত হামলা, যা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং চৌকস গোয়েন্দা সংস্থার গৌরব নষ্ট করেছে। সাদপন্থীরা নির্বাচন কমিশনের বিধিনিষেধ অমান্য করে জোড়ের নামে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে নিরীহ মানুষের ওপর হামলা করেছে। এটা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচালের পরিকল্পনা এখনি এই সন্ত্রাসী বাহিনী গ্রেপ্তার না করলে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হবে ‘

দেশের শীর্ষ এই আলেম বলেন, ‘আজকের সমাবেশ থেকে বলতে চাই, এই হামলার নির্দেশদাতা ওয়াসিফ-নাসিম-আশরাফ আলীসহ হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করা হয় তবে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের নিয়ে কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। এবং যেকোনো অবস্থার দায় ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে মুফতি রুহুল আমীন বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার শুরু থেকে বিশ্ব ইজতেমা সুনামের সাথে আঞ্জাম দিয়ে আসছে। সফলভাবে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন বিশ্ব দরবারে বাংদেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত করেছে। দেশের ধারাবাহিক এই সফলতার বিরুদ্ধে দেশের মধ্যে ঘাঁপটি মেরে থাকা দেশবিরোধী একটি মহল অন্য কারো এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশ্ব ইজতেমা বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। ইজতেমার ময়দানে হামলা সেই পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। দেশের শীর্ষ আলেম-উলামা, পীর-মাশায়েখ এবং তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বিরা দেশব্যাপী ওজাহাতি জোড় করে সরকারকে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে সতর্ক করেছে এবং তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। এমতাবস্থায় সরকারের উচিত হবে দেশের শীর্ষ উলামা-মাশায়েখ এবং কাকরাইলের শীর্ষ আলেমদের সাথে পরামর্শ করে নির্ধারিত সময়ে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা এবং এই আয়োজনের সহযোগী জোড় ইজতেমাসহ টঙ্গীর ময়দানে সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সহযোগিতা করা।’

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস মুফতি আব্দুর রউফ, সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা শামছুল হক, খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আজিজুর রহমান, খুলনার মাওলানা আসাদুল্লাহ, মাওলানা মাশহুদুর রহমান, মাওলানা কবির আহমাদ, মুফতি নুরুল ইসলাম, মুফতি উসামা আমীনসহ প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/০৬ডিসেম্বর/জেবি)