ডাটাফোর্টের আরকাইভসে বারমস

প্রকাশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:০৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সমৃদ্ধির পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। তাই শিল্প-বাণিজ্যের নতুন নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত হচ্ছে এ দেশে। এখানে কার্যক্রম চালানো দেশি-বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের কিছু কাজের দায়িত্ব অন্য কোনো বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দেয়। এই ধারাবাহিকতায় রাজধানী ঢাকার সাভারের নবীনগরে নথি ও রেকর্ড ব্যবস্থাপনার জন্য একটি আরকাইভ করা হয়েছে। এর উদ্যোক্তা ডাটাফোর্ট। তারা মূলত দুবাইভিত্তিক আরকাইভস সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইনফোর্টের বাংলাদেশের ফ্রাঞ্চাইজি। ডাটাফোর্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে আরকাইভ সেবা প্রদান করছে।

এই কার্যক্রম দেখতে পয়লা ডিসেম্বর সাভারে ডাটাফোর্টের নথি সংরক্ষণাগার পরিদর্শন করেছে বাংলাদেশ আরকাইভস অ্যান্ড রেকর্ডস ম্যানেজমেন্ট সোসাইটি (বারমস)। তারা সংরক্ষণব্যবস্থা ঘুরে দেখেন। পরে ডাটাফোর্টের কার্যক্রম নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করা হয়। যার সঞ্চালনায় ছিলেন ইনফোফোর্ট লিমিটেডের (ঢাকা) প্রধান (বিজনেস অপারেশন) শওকাত হোসাইন চৌধুরী।

এই উপস্থাপনার পরে গোলটেবিল বৈঠকের মাধ্যমে নিজ নিজ ভাবনা বিনিময় করেন বারমসের সদস্য ও ডাটাফোর্টের কর্মকর্তারা। ডাটাফোর্ট থেকে জানানো হয়, কাগজের দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে আগুন, পানি ও পোকামাকড়। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে আরকাইভ ভবন তৈরি করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের ভবন বন্যার আওতামুক্ত। অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মূল সংরক্ষণাগারে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। এখানে সূর্যালোক আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বারমস থেকে আলোচনা করেন এর সভাপতি ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ, নির্বাহী সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক দেলোয়ার হাসান, বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভসের উপ-পরিচালক তাহমিনা আক্তার। ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, নথিপত্র সংরক্ষণে সবার সচেতনতা প্রয়োজন। এর জন্য সঠিক প্রশিক্ষণেরও দরকার।

জাতীয় আরকাইভসের সংরক্ষণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা দেন বারমসের যুগ্ম সম্পাদক আরকিভিস্ট আলী আকবর। এই দেশের নথি সংরক্ষণ বিষয়ে জানান আরো কয়েকজন আরকিভিস্ট ও গ্রন্থাগারিক। সবার ভাষ্য, ডাটাফোর্ট বাণিজ্যিক প্রয়োজনে সেবা দিচ্ছে। এটা ভালো উদ্যোগ। কিন্তু এখান থেকে যাতে গবেষকরাও প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করতে হবে, সেই ব্যবস্থা রাখা দরকার।

এ বিষয়ে ইনফোফোর্ট লিমিটেডের (ঢাকা) পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এম এইচ খুসরু বলেন, বারমসের সদস্যরা নথি সংরক্ষণের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। তাদের সঙ্গে ভাবনা বিনিময়ের মাধ্যমে যে অভিজ্ঞতা পাওয়া গেল, তা বাস্তবায়নে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হবে। ডাটাফোর্টের এক লাখ ৩০ হাজার বর্গফুট আয়তনের মহাফেজখানায় ছয় হাজার ৫০০ টন নথি সংরক্ষণ করা যাবে। ইতিমধ্যে এখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৭৫০ টন নথি সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

ঢাকাটাইমস/০৭ডিসেম্বর/টিএমএইচ