কানাডার প্রত্যন্ত জঙ্গলে দৈত্যাকার গুহা

প্রকাশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:০৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

কানাডার প্রত্যন্ত জঙ্গলে আবিষ্কৃত হলো দৈত্যাকার একটি গুহা। এই গুহা এতটাই বড় যে, বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্বের বৃহত্তম গুহাও হতে পারে এটি। প্রত্যন্ত আলপাইন উপত্যকায় অবস্থিত এই গুহার মুখটিই ১০০ মিটার লম্বা, ৬০ মিটার প্রশস্ত। ওই গুহামুখের দিকে তাকালে মোটামুটি ৬০০ ফুট গভীর (১৮৩ মিটার) পর্যন্ত চোখ যেতে পারে। এটা যে তার চেয়ে ঢের গভীর, সে বিষয়ে নিশ্চিত আবিষ্কারক দল।

এই গুহাকে এক ধরনের ‘গুহা খাদ’ বলছেন প্রতœতত্ত্ববিদ জন পোলক। কারণ গুহার মুখ থেকে জলধারা চলে গেছে অনেকটাই গভীরে। গুহামুখ থেকে বহু দূর পর্যন্ত নেমেও এখনো গভীরতা বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি।

সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হয়েছিল এই গুহা সম্পর্কে তথ্য জানার কাজ, জানান জন। এপ্রিল মাসে ক্যারিবু হরিণ গণনার সময় ব্রিটিশ কলম্বিয়ার বন দপ্তরের হেলিকপ্টার এটির প্রথম সন্ধান পায়।

বেভান মাস্ট নামে এক জীববিদ বলেন, এই গুহাকে পরবর্তীতে স্থানীয় ভাষায় কোনো নাম দেওয়া হতে পারে। তবে আপাতত এটিকে ‘সারলাক পিট’ই বলা হচ্ছে, কারণ দৈত্যাকার একটি মুখ রয়েছে এই গুহাটির।

স্টার ওয়ার্স সিরিজের ছবি ‘রিটার্ন অব জেডি’-র নাম অনুযায়ী এটিকে আপাতত সারলাক পিট বলা হচ্ছে। ছবিতে সারলাক ছিল এক দানব, যে ধীরে ধীরে শিকারকে টেনে নিত নিজের গুহামুখের দিকে। এটিও তেমনই বিপুল। আসলে এই গুহাটি জাতীয় সম্পদ। তাই এটির প্রকৃত অবস্থান এখনও জানানো হয়নি।

সেপ্টেম্বরে গবেষক দলের একজন গুহামুখ বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি জানান, পার্শ্ববর্তী হিমবাহ থেকে বরফ গলে, পাথরের খাঁজ তৈরি হয়েছে বহু বছর ধরে। প্রায় ৮০ মিটার পর্যন্ত গিয়ে প্রবল জলধারার কারণে থেমে গিয়েছিলেন তিনি।

প্রায় দুই কিলোমিটার বয়ে এসেছে এই জলধারা। এটি একটি নদীও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উষ্ণায়নের কারণেই বরফ গলে গিয়ে আচমকা এই গুহামুখ বেরিয়ে পড়েছে বলে জানান পোলক।

গবেষক দলের তরফ থেকে হিকসন বলেন, হিমবাহ দিয়ে ঘেরা এই গুহা। হিমবাহগুলো প্রায় ২৫০০ ফুট লম্বা। একেবারে প্রত্যন্ত এই জঙ্গল এলাকায় শীতকালে গবেষণা চালানো একেবারে অসম্ভব। সরকারিভাবে তাই গুহা সংক্রান্ত বাকি কাজ ২০২০ সালের প্রথমে শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৭ডিসেম্বর/এসআই)