বিদেশি শ্রমিক নিতে জাপানের পার্লামেন্টে আইন পাস
শ্রমিকের ঘাটতি নিরসনে হাজার হাজার বিদেশি শ্রমিক নেবে জাপান। বিদেশি শ্রমিকদের কাজের সুযোগ দিতে গত শুক্রবার নতুন একটি আইন অনুমোদন দিয়েছে জাপানের পার্লামেন্ট।
আগামী বছরের এপ্রিল থেকে নির্মাণ, কৃষি এবং নার্সিং খাতে বিদেশি শ্রমিক নেবে জাপান। জাপান ঐতিহাসিকভাবে অভিবাসী সচেতন। কিন্তু দেশটির সরকার বলছে, জাপানের জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় আরও বিদেশ শ্রমিকের প্রয়োজন পড়েছে।
বিরোধী দলগুলো বলছে, এই আইন নতুন প্রজন্মদের হুমকির মুখে ফেলবে। নতুন আইন অনুযায়ী, চলমান শ্রমিক সংকট কাটাতে উল্লিখিত খাতগুলোতে তিন লাখের বেশি বিদেশি শ্রমিক নেবে জাপান।
বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার জন্য জন্য আইনে নতুন দুটি ভিসা ক্যাটাগরি সৃষ্টি করা হয়েছে। নির্দিষ্টি কাজে ও জাপানি ভাষায় দক্ষতা থাকলে প্রথম ক্যাটাগরিতে বিদেশি শ্রমিকরা পাঁচ বছরের জন্য ভিসা পাবেন। উচ্চ পর্যায়ের দক্ষরা দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে কাজের ভিসা পাবেন। তারা জাপানে থাকার জন্যও আবেদন করতে পারবেন।
বিরোধী দলগুলোর যুক্তি, বিদেশি শ্রমিকদের প্রবৃদ্ধি মজুরি হ্রাস করবে এবং অভিবাসী শ্রমিকদের শোষণের দিকে পরিচালিত করবে।
টোকিওতে বিবিসির প্রতিবেদক রুপার্ট উইংফিল্ড-হায়েস জানান, কম দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য ‘প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ’ এর বর্তমান কর্মসূচি অসাধু নিয়োগকর্তাদের দ্বারা অপব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
জাপানের ব্যবসায়ীরা দীর্ঘ দিন ধরে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে অভিবাসন আইন পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে জোর দিয়ে বলেছেন, প্রস্তাবিত আইনটি অভিবাসন নীতির পরিবর্তন নয়। যারা বিশেষভাবে দক্ষ, জরুরি শ্রমিক ঘাটতি নিরসনে এখনই কাজ শুরু করতে পারবে এবং যেসব খাতে শ্রমিকের আসলেঈ ঘাটতি রয়েছে শুধুমাত্র সেসব খাতেই বিদেশি শ্রমিক নেওয়া হবে।
উন্নত দেশগুলোতে জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে হলে অন্তত ২ দশমিক ১ জন্মহার প্রয়োজন হয়। জাপানের জন্মহার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম।
দেশটিতে নারীপ্রতি জন্মহার মাত্র ১ দশমিক ৪। ১৯৭০ সালের দিকে জাপানে নারী প্রতি শিশু জন্মের হার ছিল ২ দশমিক ১। এখন তা দাঁড়িয়েছে ১.৪ এ। তাছাড়া বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আয়ু পায় জাপানের নাগরিকরা। তারা গড়ে ৮৫.৫ বছর বেঁচে থাকেন।
(ঢাকাটাইমস/৮ডিসেম্বর/এসআই)