শেষমেশ জামায়াত পেল ২২ আসন

প্রকাশ | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ২১:০৩ | আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ২২:৩৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

শেষ পর্যন্ত বিএনপির কাছ থেকে ২২টি আসনে ছাড় নিশ্চিত করতে পারল জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামী। গত দুই দিন ধরে নানাভাবে নানা চেষ্টা করেও প্রত্যাশিত আসন পায়নি তারা।

তবে দুটি আসনে বিএনপি এবং জামায়াত একমত হতে পারেনি। সেখানে দুই দলেরই হবে লড়াই। আসনগুলো হলো পাবনা-১ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ৩।
২০০১ এবং ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জামায়াত ৩৫টি করে আসনে বিএনপির ছাড়ে নির্বাচন করেছিল। এর বাইরে ২০০১ সালে তিনটি আসনে এবং ২০০৮ সালে চারটি আসনে হয় উন্মুক্ত লড়াই।

বর্তমান সরকারের আমলে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির রায়ের পর দলটি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়েছে। আর আগের দুই নির্বাচনে বিএনপির কাছে ৬০টি আসন চাইলেও এবার তারা জমা দেয় ৫০টি আসনের তালিকা। তবে পাওয়ার প্রত্যাশা ছিল ৩০টি।

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন হারানো দলটির নেতারা এবার শুরুতে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তারা বিএনপির প্রতীক ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়। আর বিএনপির কাছ থেকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রত্যয়নপত্র নিয়ে নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা করে ২৫টি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার সব আসনও নিশ্চিত করতে পারেনি তারা। সাতক্ষীরা-৩, সিলেট-৫ এবং সিলেট-৬ আসনের মধ্যে দুটিতে নিজেরা এবং একটিতে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামীকে ছাড় দিয়েছে বিএনপি।

যেখানে যেখানে ভোটে দাঁড়াবে জামায়াত

ঠাকুরগাঁও-২ আবদুল হাকিম, দিনাজপুর-১ আবু হানিফ, দিনাজপুর-৬ আনোয়ারুল ইসলাম; নীলফামারী-২, মনিরুজ্জামান মন্টু, নীলফামারী-৩ আজিজুল ইসলাম; রংপুর-৫ জামায়াতের গোলাম রাব্বানী; গাইবান্ধা-১;  মাজেদুর রহমান; সিরাজগঞ্জ-৪ রফিকুল ইসলাম খান; পাবনা-৫ ইকবাল হোসাইন, খুলনা-৫ মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ আবুল কালাম আজাদ; বাগেরহাট-৩ আবদুল ওদুদ, বাগেরহাট-৪ আবদুল হালিম; সাতক্ষীরা-২ আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৪ গাজী নজরুল ইসলাম; যশোর-২ আবু সাঈদ মো. শাহাদাত হোসেন; ঝিনাইদহ-৩ মতিয়ার রহমান; পিরোজপুর-১ শামীম সাঈদী; ঢাকা-১৫ শফিকুর রহমান; কুমিল্লা-১১ সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের; চট্টগ্রাম-১৫ আ ন ম শামসুল ইসলাম; কক্সবাজার-২ হামিদুর রহমান আযাদ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে জামায়াতের নুরুল ইসলাম বুলবুল এবং পাবনা-১ আসনে নাজিবুর রহমান মোমেন লড়বেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।