চোট নিয়েই খেলে যাচ্ছেন অধিনায়ক

প্রকাশ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:১৭

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা ভালো কাটেনি মাশরাফি বিন মর্তুজার। তিন ম্যাচ খেলে পেয়েছিলেন মাত্র এক উইকেট। ফিটনেস ভালো না থাকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল পারফরম্যান্সে।

মাশরাফির চোট এশিয়া কাপ থেকেই; হাত এবং উরুতে ব্যথা নিয়ে ফিরেছিলেন তিনি। পুরোপুরি সুস্থ হতে না হতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজদের বিপক্ষে বিকেএসপিতে প্রস্তুতি ম্যাচে আবারও হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি দেখা দেয় তার। কিন্তু কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই উইন্ডিজদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে খেলেছেন তিনি।

চোট তো মাশরাফির নিত্যসঙ্গী। কিন্তু রবিবার সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে যেভাবে বল করেছেন, তাতে কে বলবে ফিটনেস ঘাততি আছে তার? বোলিংয়ের গতি ঘণ্টায় ১২০-১২৫ কিলোমিটারের মাঝে থাকলেও প্রতিটি বল করেছেন নিখুঁত লাইন লেন্থ বজায় রেখে। নিজের কোটার ১০ ওভার বোলিংয়ের ৫০ ভাগ বলই ফেলেছেন গুড লেংথে। সাত ওভারের প্রথম স্পেলে দিয়েছেন কেবল ১৪ রান। ৬০ বলের মাঝে ৪১টিই ডট! আর বাকি ১৯ বলে ৩০ রানের বিপরীতে নিয়েছেন ৩ উইকেট। স্লো উইকেটে কিভাবে রানের লাগাম ধরে বোলিং করতে হয়, সেটাই দেখালেন মাশরাফি।

দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার নিয়ে যখন সংবাদ-সম্মেলনে এলেন, মলিন হাসিতে শোনালেন নতুন চোটের কথা। বললেন, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজে যে ইনজুরি ছিল সেটা এখনও বহন করছি। তিন উইকেট পেয়েছি বলে যে একেবারে ভালো অবস্থায় আছি, তা না। সঙ্গে আরও একটা ইনজুরি যোগ হয়েছে হ্যামস্ট্রিংয়ের। যেটা সাধারণত ছিল না আমার। শারীরিকভাবে, জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে খুব ভালো নেই আমি।’

চোট সমস্যা যেন মানসিকতায় কোনো নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে, সেজন্য প্রথম ম্যাচের আগে ফিটনেস টেস্টও করাননি মাশরাফি। চোট নিয়ে খেলতে নামা টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘আমি শেষ ম্যাচেই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছি। ফিটনেস টেস্টও দেইনি, তৈরি ছিলাম খেলার জন্য। এখন পর্যন্ত একই অবস্থায় আছি।’

চোট নিয়ে দেশের হয়ে খেলা মাশরাফির জন্য নতুন কিছু নয়। চোট নামক ‘অভিশাপ’ বারবারই তার ক্যারিয়ারকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। প্রতিবারই বিজয়ী বেশে ফিরেছেন মাশরাফি। চোট জর্জর শরীর নিয়েই দেশকে ১৮টি বছর সার্ভিস দিয়ে যাছেন নড়াইলের কৌশিক।

(ঢাকাটাইমস/১০ ডিসেম্বর/এইচএ)