নারায়ণগঞ্জ-৩

সিংহ প্রতীকে আ.লীগের বিদ্রোহী কায়সার

প্রকাশ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:২৪ | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:২৫

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত সিংহ প্রতীকে লড়বেন এবারের নির্বাচনে। ফলে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকাকে লড়তে হবে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ধানের শীষের পাশাপাশি ‘ঘরের শত্রুর’ বিরুদ্ধেও।

গতকাল নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা রাব্বী মিয়া প্রার্থীদের হাতে তাদের প্রতীক বরাদ্দ দেন।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, কায়সার হাসনাত স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তা মহাজোটের প্রার্থী বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার জন্য অস্বস্তির কারণ হয়েছে। তিনি জাতীয় পার্টি থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হলেও এখানে ভোটের মাঠে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে পারেননি। এবারও তিনি মহাজোটের প্রার্থী হয়েছেন।

এ আসনে ভোটের মাঠে রয়েছে নানা হিসাব-নিকাশ। বিএনপির প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের বিপক্ষে রয়েছেন এ আসনের সাবেক এমপি রেজাউল করিম ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর। এই দুজন পুরোদমে মান্নানের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে না থাকলে তার জয়ের সম্ভাবনা কম। খন্দকার আবু জাফর এখানে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেলেও পরে আর মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। তিনি মান্নানের মনোনয়নের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এখানে রেজাউল করিমের বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। এগুলো কোন দিকে যাবে এখনই বলা যাচ্ছে না।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের একটি অংশ কায়সার হাসনাতের সঙ্গে দূরত্ব রয়েছে এবং এমপি খোকা হলেন মহাজোটের প্রার্থী। সেই হিসাবে খোকার পক্ষেও আওয়ামী লীগের একটি অংশ অবস্থান নেবে। তবে মূল তিন প্রার্থীর মধ্যে কায়সার হাসনাতই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় আসনে। সাধারণ মানুষের কাছে কায়সার হাসনাত একজন সাদা মানুষ।

কায়সার হাসনাতের চাচা মোশারফ হোসেনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। তবে বাছাইয়ে বাদ পড়েন তিনি। তিনি কায়সার হাসনাতের পক্ষেই থাকবেন। মোশাররফ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু দল মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে আসনটি ছেড়ে দিলে মোশাররফ হোসেন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

কায়সার হাসনাত তার মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন আওয়ামী লীগের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেদিন বলেন, ‘আমি এমপি হতে আসিনি। আমি সোনারগাঁয়ের আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে আসছি।’

এদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, এখানে মান্নানের জয় নিশ্চিত করতে হলে মাঠে নামতে হবে রেজাউল করিম ও খন্দকার আবু জাফরকে।