অপপ্রচার বন্ধ না হলে ব্যবস্থা: ফখরুল
নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পরিকল্পিত অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠকসংক্রান্ত বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে আইনি পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
সোমবার বিকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এই হুমকি দেন।
এই অভিযোগের বিষয়ে ফখরুল বলেন, ‘এই বক্তব্য শুধু বিএনপিকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য। আওয়ামী লীগের এই প্রবণতা আছে যে বিএনপিকে এমন সংস্থা বা দেশের সঙ্গে যুক্ত করে বিপদে ফেলতে চায়। আমরা সব সময় জনগণের মতামত নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছি। কোনো সংস্থা বা দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নেই।’
ওবায়দুল কাদের ও আবদুর রহমানের বক্তব্য প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারি অর্থ ব্যয় করে তারা (আওয়ামী লীগ) এই জঘন্য মিথ্যাচারের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও প্রিন্ট মিডিয়াকে ব্যবহার করছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তিন শতাধিক ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলেছে, যার একমাত্র উদ্দেশ্য বিরোধী দল ও খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা, নোংরা ছবি ছড়ানো, মিথ্যা ও বানোয়াট গল্প তুলে ধরা।’
প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে একটি কার্টুন দেখিয়ে ফখরুল বলেন, ‘কার্টুনকে আমি কিছু মনে করি না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী বা আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে এই ধরনের কার্টুন দেওয়ায় অনেককে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাত বছর জেলও হয়েছে। আমাদের অনেক অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টকেও জেলে রাখা হয়েছে।’
বিএনপির নেতাদের ছবি নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে- এমন অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘এই ধরনের চরিত্র হনন ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। আমরা এখন থেকে মামলা করা শুরু করব। দেখব সরকার সেগুলোর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
মিডিয়াকে নিরপেক্ষ আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের কিছু নেতা মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে বিক্ষোভ করলে সেগুলো বড় করে ছাপা হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগের নিজেদের দ্বন্দ্বে অনেক খুন হলেও মিডিয়ায় সেগুলো ফলাও করে প্রচার হয় না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে দেশ গণতান্ত্রিক থাকবে কি থাকবে না। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের প্রচার থেকে শুরু করে মিডিয়ার ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারণায় কোনো সমতল ভূমি নেই। আমরা ভয়াবহ প্রতিকূলতা ও খানাখন্দে ভরা অসমতল ভূমিতে নির্বাচন করতে যাচ্ছি। এখন আগের মতোই মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। এ ক্ষেত্রে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/১০ডিসেম্বর/বিইউ/জেবি)