নৌকার ঘাঁটি অন্তত ৬৭ আসন

তানিম আহমেদ
 | প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:৪৫
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা নিয়ে মিছিল করছেন দলীয় সমর্থকরা

ঠাকুরগাঁও-১ আসনে ১৯৯১ সাল থেকে আওয়ামী লীগ হেরেছে একবারই। বিএনপি ও জামায়াত জোটবদ্ধ হওয়ার পর ২০০১ সালে সেখানে জেতেন বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট করার পর আবার আসনটি পুনরুদ্ধার করে, জয় পায় ৫৭ হাজার ভোটে।

এই আসনটিতে জামায়াত ও জাতীয় পার্টি দুই দলেরই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোট আছে আর দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে সেই ভোট যোগ হওয়ায় সুবিধা পাচ্ছে দুই দলই।

পাশের আসন ঠাকুরগাঁও-২-এ একবারের জন্যও হারেননি আওয়ামী লীগের প্রার্থী দবিরুল ইসলাম। ১৯৮৬ সাল থেকেই তিনি জিতে আসছেন।

এই দুটি আসনের মতোই সারা দেশে অন্তত ৬৭টি আসন পাওয়া যাচ্ছে, যেখানে ১৯৯১ সাল থেকে আওয়ামী লীগ প্রতিবার জিতে আসছে বা হারলেও একবার হেরেছে। কিন্তু পরের নির্বাচনেই আসনটি পুনরুদ্ধার করেছে।

আগামী ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে ক্ষমতাসীন দল এই আসনগুলোকে নিশ্চিত ধরেই এগোচ্ছে। আবার উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে বেশ কিছু জেলা এবং ঢাকার আশপাশের অঞ্চলে আওয়ামী লীগের ভোট ক্রমাগত বাড়ছে এবং টানা তিন নির্বাচন হারার পর আসনগুলোতে বড় ব্যবধানে জয় এসেছে, এমন আসনও আছে বহু। সব মিলিয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার বিষয়ে সংশয় নেই ক্ষমতাসীন দলের।

উত্তরের যেসব আসনে নৌকা মানেই জয়

দিনাজপুর-১ আসনটিতে ১৯৭৯ সালে বিএনপির জমির উদ্দিন সরকার এবং ২০০১ সালে জামায়াতের আব্দুল্লাহ আল কাফি জিতেছিলেন। বাকি সব অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনেই জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। এবার এখান থেকে নৌকা নিয়ে লড়ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল।

দিনাজপুর-২ আসনেও আওয়ামী লীগ একবারই হেরেছিল। ২০০১ সালে নৌকার প্রার্থী সতীশ চন্দ্র রায় হেরে যান বিএনপির মাহবুবুর রহমানের কাছে। তবে পরের নির্বাচনে ৫০ হাজার ভোটে মাহবুবুরকে হারিয়ে আসনটি দখলে নেন আওয়ামী লীগের খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এবারও নৌকা নিয়ে লড়বেন তিনি।

দিনাজপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার জিতে আসছেন ১৯৯১ সাল থেকে। এবার টানা ছয়ে চোখ তার।

নীলফামারী-২ আসনটি ২০০১ সালে প্রখ্যাত অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরকে প্রার্থী করে বাজিমাত করা আওয়ামী লীগ পরের নির্বাচনে আরও বড় ব্যবধানে জয় পায়। ২০১৪ সালেও তিনি জেতেন। এবার টানা চতুর্থ জয় চাইছেন তিনি।

লালমনিরহাট-১ আসন থেকে টানা তিনবার বিজয়ী হয়েছেন মোতাহার হোসেন। এর আগে এ আসনটিতে বিজয়ী হয়েছিল জাতীয় পার্টি। বিএনপি ১৯৯১ সাল থেকে কখনোই এখানে ভালো করতে পারেনি।

গাইবান্ধা-২ আসনেও অংশগ্রহণমূলক কোনো নির্বাচনে জিততে পারেনি বিএনপি। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টি জিতলেও পরে আসনটি নিজের করে নিতে সক্ষম হয় আওয়ামী লীগ। ২০০১ সালে বিজয়ী লুৎফর রহমানের বদলে ২০০৮ সালে এখানে নৌকা নিয়ে লড়েন মাহবুব আরা বেগম গিনি। তার ওপরই এখানে আস্থা রেখেছে দল।

গাইবান্ধা-৫ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বী মিয়া জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের হয়ে জিতেছেন মোট পাঁচবার। এর মধ্যে লাঙ্গল নিয়ে তিনবার এবং নৌকা নিয়ে দুবার। এবার টানা তৃতীয় জয়ের প্রত্যাশায় তিনি।

সিরাজগঞ্জ-১ আসন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত। ১৯৯১ সাল থেকে সব অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের মন্ত্রী মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম এখানে প্রার্থী।

পাবনা-৪ আসনে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরিফ ডিলু। এ নির্বাচনেও তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়বেন বিএনপির হাবিবুর রহমান হাবিবের বিরুদ্ধে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আসন

খুলনা-১ আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের নিশ্চিত আসন। ১৯৯১ সাল থেকে টানা জিতে আসা নৌকার প্রার্থী এবার পঞ্চানন বিশ্বাস।

বাগেরহাট-১ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা একাধিকবার জিতেছেন। তার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিনও সহজ জয় পেয়েছেন একাধিকবার। এবার তার প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপির শেখ মাসুদ রানা।

বাগেরহাট-৩ আসনে আওয়ামী লীগকে হারানো কতটা কঠিন, সেটি বরাবরই টের পাচ্ছে বিএনপি। প্রতিবার বিপুল ব্যবধানে জয় পাওয়া আসনে এবার নৌকা নিয়ে লড়বেন হাবিবুন নাহার।

১৯৯১ সালের পরে মাগুরা-১ আসনে আর কখনো হারেনি আওয়ামী লীগ। এ আসনে এবার প্রথমবারের মতো নৌকা নিয়ে লড়বেন সাইফুজ্জামান শিখর।

নড়াইল-১ আসনেও আওয়ামী লীগের অবস্থান খুবই শক্তিশালী। ১৯৯১ সাল থেকে এখানে বিএনপির জয়ের রেকর্ড নেই। এখানে নৌকা নিয়ে লড়বেন কবিরুল হক মুক্তি।

নড়াইল-২ আসনও বরাবর থাকে আওয়ামী লীগের দখলে। আর এবার জাতীয় ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে প্রার্থী করার পর জয়ের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হয়েছে বলেই মনে করছে ক্ষমতাসীন দল।

বরিশাল অঞ্চল

১৯৯১ এর পর ২০০১ সালের নির্বাচনেই কেবল বরিশাল-১ আসনে জিতেছিল বিএনপি। বাকি চার নির্বাচনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। এখানে নৌকার প্রার্থী আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ।

পটুয়াখালী-২ আসনে ১৯৯১ সাল থেকে একবারই হারতে হয়েছিল আওয়ামী লীগকে। ২০০১ সালে হেরে যান আ স ম ফিরোজ। বাকি সব নির্বাচনে জয়ী আ স ম ফিরোজকে আবারও নৌকা মার্কা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল।

পটুয়াখালী-৩ আসনে নৌকা মানেই জয়Ñএমনটিই দেখে আসছে স্থানীয়রা। গত তিনটি নির্বাচনেই প্রার্থী পাল্টেছে এখানে আওয়ামী লীগ। এবারের প্রার্থী এস এম শাহাজাদা।

পটুয়াখালী-৪ আসনে ১৯৯১ সাল থেকে প্রতিবার জিতে আসছেন নৌকার প্রার্থী। এবারের প্রার্থী গত দুবার নির্বাচিত মহিবুর রহমান মুহিব।

বরগুনা-১ আসন আওয়ামী লীগের আসন নামেই পরিচিত। হ্যাটট্রিক জয়ের আশায় লড়ছেন ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।

ভোলা-২ আসনে ২০০১ সাল ছাড়া কখনো হারতে হয়নি আওয়ামী লীগকে। তবে ২০০৮ সালে আসনটিতে বেশ বড় ব্যবধানে জেতে ক্ষমতাসীন দল। এখানে নৌকার প্রার্থী আলী আজম মুকুল।

ঢাকা বিভাগ

গাজীপুর-১ ও ৩ আসনে ১৯৯১ সাল থেকে টানা জিতে আসছে বর্তমানের ক্ষমতাসীনরা। গাজীপুর-২, ৪ ও ৫ আসনে একবারই হারতে হয়েছে নৌকার প্রার্থীকে। বাকি প্রতিবার জয় এসেছে বিপুল ব্যবধানে।

গাজীপুর-১ আসনে এবার লড়বেন আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-২ আসনে জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর-৩ আসনে ইকবাল হোসেন সবুজ, গাজীপুর-৪ আসনে সিমিন হোসেন রিমি এবং গাজীপুর-৫ আসনে মেহের আফরোজ চুমকি।

টাঙ্গাইল-১ আসনটিও আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। ১৯৯১ সাল থেকে কখনো হারতে হয়নি নৌকা নিয়ে। বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুর রাজ্জাকেই ভরসা তার দলের।

সামরিক শাসন শেষে টাঙ্গাইল-৭ আসনে ২০০১ সাল ছাড়া কখনো জয় পায়নি বিএনপি। আগে-পরের চারটি নির্বাচনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। বর্তমান সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেনেই এবারও আস্থা দলের।

কিশোরগঞ্জ-১ আসনে ১৯৯১ সালে হারের তিক্ত অভিজ্ঞতার পর প্রতিবার হেসেছে আওয়ামী লীগ। সর্বশেষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে ৭২ হাজার ভোটে বিএনপিকে হারান আওয়ামী লীগের সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। শারীরিকভাবে অসুস্থ এই রাজনীতিক এবারও নৌকার প্রার্থী।

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে নৌকা ছাড়া অন্য প্রতীকের জয় বর্তমান প্রজন্ম কখনো দেখেনি। আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বানিয়েছেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তার ছেলে রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিক এখানে নৌকার প্রার্থী।

কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে ১৯৯১ সালের পর আর হারতে হয়নি আওয়ামী লীগকে। দলের প্রয়াত নেতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ছেলে নাজমুল হাসান পাপনকে নিয়ে আসনটি ধরে রাখতে আত্মবিশ্বাসী আওয়ামী লীগ।

গোপালগঞ্জের তিনটি আসনে আওয়ামী লীগের জয় নিয়ে কখনো সংশয় থাকে না। বরং বিরোধী দলগুলো কত কম ভোট পায়, তা নিয়েই আলোচনা হয় ভোট শেষে।

গোপালগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফারুক খান, গোপালগঞ্জ-২ আসনে শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং গোপালগঞ্জ-৩ আসনে শেখ হাসিনা।

মাদারীপুরের তিনটি আসনও আওয়ামী লীগের দুর্গ। মাদারীপুর-১ আসনে নুর-ই আলম চৌধুরী লিটন, মাদারীপুর-২ আসনে শাজাহান খান এবং মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকা প্রতীকে লড়বেন আবদুস সোবহান গোলাপ।

একই অবস্থা পাশের জেলা শরীয়তপুরের তিনটি আসনে। এখানকার ভোটাররাও নৌকা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীককে বেছে নিতে চান না। শরীয়তপুর-১ আসনে ইকবাল হোসেন অপু, শরীয়তপুর-২ আসনে এনামুল হক শামীম এবং শরীয়তপুর-৩ আসনে নাহিম রাজ্জাক লড়বেন নৌকা নিয়ে।

ফরিদপুর-১ আসনে ১৯৯১ সাল থেকে কখনো জয় পায়নি বিএনপি। ২০০৮ সালে তারা হেরেছে এক লাখ তিন হাজার ভোটে। এই আসনে নৌকা নিয়ে এবার লড়বেন সাবেক সচিব মনজুর হোসেন বুলবুল।

ফরিদপুর-৪ আসনেও আওয়ামী লীগ জয় পেয়ে আসছে বরাবর। ১৯৯১ সাল থেকে কোনো নির্বাচনে হারতে হয়নি আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে। ২০১৪ সালে এই আসন থেকে জেতেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নিক্সন চৌধুরী। তবে তিনি আওয়ামী লীগের পরিবারেরই সদস্য।

ময়মনসিংহ বিভাগ

ময়মনসিংহ-১ আসনে বিএনপি ১৯৯৬ সালে একবারই জিতেছে। বাকি সব ভোটে জয় পায় আওয়ামী লীগ। সাবেক সংসদ সদস্য প্রমোদ মানকিনের ছেলে বর্তমান সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং সেখানে দলের প্রার্থী।

ময়মনসিংহ-২ আসনে ২০০১ সাল ছাড়া কখনো হোঁচট খেতে হয়নি নৌকার প্রার্থীকে। তবে ২০০৮ সালে ৭৬ হাজার ভোটে জিতে আওয়ামী লীগ বুঝিয়ে দিয়েছে আগের নির্বাচনের ফলাফলটি ছিল দুর্ঘটনা মাত্র।

ময়মনসিংহ-৬ আসনে আওয়ামী লীগের মোসলেমউদ্দিন ১৯৯১ সালে হেরে যাওয়ার পর প্রতিটি নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জিতে আসছেন। এবারও তিনিই দলের প্রার্থী।

ময়মনসিংহ-৭ আসনে আওয়ামী লীগ হেরেছিল কেবল ১৯৯১ সালে। ২০১৪ সালে দলটি আসনটি ছেড়ে দেয় জাতীয় পার্টিকে। তবে এবার নিজের প্রার্থী দিয়েছে। নৌকা নিয়ে লড়বেন রুহুল আমিন মাদানী।

১৯৯১ সালের নির্বাচন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত ময়মনসিংহ-১০ আসনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়নি। সাবেক সংসদ সদস্য আলতাফ গোলন্দাজের ছেলে ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল এবার নৌকার মাঝি।

ময়মনসিংহ-১১ আসনে আওয়ামী লীগ ১৯৯১ সালের পর কখনো হারেনি। চারবারের সংসদ সদস্য আমানউল্লাহকে পাল্টে এবার দল মনোনয়ন দিয়েছে তাজিমউদ্দিন আহমেদ ধনুকে।

শেরপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ হেরেছিল ১৯৯১ সালে। এই প্রথম, এই শেষ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিউর রহমান আতিক চারবারের সংসদ সদস্য।

শেরপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মতিয়া চৌধুরী কেবল ২০০১ সালে হেরেছেন। এর আগে ও পরের চারটি নির্বাচনে নৌকার জয় হয়েছে। ২০০৮ সালে তিনি জেতেন ৮১ হাজার ভোটে।

নেত্রকোণা-২ আসনে আওয়ামী লীগ হেরেছিল ১৯৯১ সালে। বাকি প্রতিবার জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী। এবার মাঝি আশরাফ আলী খান খসরু।

নেত্রকোণা-৩ আসনে আওয়ামী লীগকে হারতে হয়েছিল কেবল ২০০১ সালে। নৌকার প্রতীকে প্রথমবারের মতো লড়বেন অসীম কুমার উকিল।

১৯৯১ সাল থেকে জামালপুর-৩ আসনে জিতে আসছেন আওয়ামী লীগের মির্জা আজম। টানা পাঁচ জয়ের পর এবার ছয়ে চোখ তার।

জামালপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগ হেরেছিল কেবল ১৯৯১ সালে। তবে চারবারের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম হীরার বদলে এবার নৌকা পেয়েছেন মোজাফফর হোসেন।

সিলেট বিভাগ

সিলেট-৪ আসনে আওয়ামী লীগ ১৯৯১ সালের পর হেরেছিল কেবল ২০০১ সালে। এ আসনে আওয়ামী লীগের ইমরান হোসেন লড়বেন নৌকা নিয়ে।

হবিগঞ্জ-১ আসনেও নৌকা মানেই জয় দেখে আসছে স্থানীয়রা। ২০০৯ সালের পর একবার উপনির্বাচনে হার ছাড়া প্রতিবার বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়ে আসছে ক্ষমতাসীন দল। লড়বেন প্রয়াত নেতা দেওয়ান ফরিদ গাজীর ছেলে দেওয়ান শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী।

হবিগঞ্জ-২ আসনেও বরাবর জিতে আসছে আওয়ামী লীগ। নৌকা নিয়ে লড়বেন আবদুল মজিদ খান।

হবিগঞ্জ-৪ আসনেও আওয়ামী লীগ জিতে আসছে পঞ্চম সংসদ নির্বাচন থেকে। নৌকা নিয়ে লড়বেন বর্তমান সংসদ সদস্য মাহবুব আলী।

সুনামগঞ্জ-২ আসনে ১৯৯১ সাল থেকে একবারও জয়ের দেখা পায়নি বিএনপি। তবে ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে জয়ী নাছির উদ্দিন চৌধুরীকে দলে নিয়ে প্রার্থী করেছে বিএনপি। সুরঞ্জিতের প্রয়াণের পর উপনির্বাচনে জয়ী জয়া সেনগুপ্তার ওপরই ভরসা রেখেছে ক্ষমতাসীন দল।

সুনামগঞ্জ-৩ আসনও নৌকার দুর্গ বলা যায়। ১৯৯১ থেকে প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগ এবার প্রার্থী করেছে গত দুবার বিজয়ী এম এ মান্নানকে।

মৌলভীবাজার-৪ আসনেও নৌকার জয় হচ্ছে বরাবর। বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুস শহীদ লড়বেন ক্ষমতাসীন দলের হয়ে।

চট্টগ্রাম বিভাগ

ব্রাহ্মবাড়িয়া-১ আসনে ১৯৯১ সালের পর আর হারের স্বাদ পায়নি আওয়ামী লীগ। বাকি সব জাতীয় নির্বাচনে জয়ী ছায়েদুল হকের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে জয়ী বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন লড়বেন নৌকা নিয়ে।

চট্টগ্রাম-৬ আসনে আওয়ামী লীগ সর্বশেষ হেরেছিল ১৯৯৬ সালে। এরপর সব নির্বাচনেই বিজয়ী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন থেকেই বান্দরবান জেলায় বিজয়ী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। পাঁচবারের বিজয়ী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং লড়বেন নৌকা নিয়ে।

রাঙামাটি আসনে ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে আওয়ামী লীগ হেরেছে কেবল ২০০১ সালে। বাকি সব ভোটে জয়ী দীপংকর তালুকদারেই ভরসা দলের।

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

সাকিবের বিএনএমে যোগ দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানি না: ওবায়দুল কাদের

বিএনপির কেন্দ্রীয় তিন নেতার পদোন্নতি

দুর্নীতি ও ভোটাধিকার হরণ ছাড়া আ.লীগের আর কোনো অর্জন নেই : এবি পার্টি

‘দেশে ইসলামবিদ্বেষী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে’

ক্ষমতাসীনদের কেউ ভালো নেই: গয়েশ্বর

সিন্ডিকেটকে কোলে বসিয়ে বিরোধীদলের ওপর দায় চাপাচ্ছে সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ

ইফতার পার্টিতে আল্লাহ-রাসুলের নাম না নিয়ে আ.লীগের গিবত গায়: প্রধানমন্ত্রী

বাংলার মাটি থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই: ওবায়দুল কাদের

দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা চাইলেন মঈন খান

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী: আ.লীগের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :