ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৫৬ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৫৬ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ। মিরপুরে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকটে ২৫৫ রান করে স্বাগতিকরা। তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে আছে টাইগাররা।
শুরুটা জঘন্য ছিল টাইগাররদের। কোনো রান না করেই ফিরে যান ইমরুল কায়েস। তার আগে ৫ রানের মাথায় আহত হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ওপেনার লিটন কুমার দাসকে। ক্যারিবিয়ান গতিময় পেসার ওশান টমাসের একটি ইয়র্কার ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন, খেলতে পারেননি ঠিকমত। বল গিয়ে লাগে ডান পায়ের গোড়ালির একটু ওপরে। কোনো রকমে একটি রান নিয়ে আরেকপ্রান্তে গিয়েই শুয়ে পড়েন তিনি।
মাঠে ফিজিও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরও সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিলেন না লিটন। মাঠ ছাড়েন স্ট্রেচারে করে। নেওয়া হয় হাসপাতালে।
গত ম্যাচে রান পাননি তামিম। এ ম্যাচে দায়িত্ব যে কারণে তার উপর আরো বেড়ে যায়। আগের ম্যাচের জয়ের অন্যতম নায়ক মুশফিকের সঙ্গে তামিমের জুটিটা বেশ জমে ওঠলো। ১১১ রানের পার্টনারশিপ। ৬৩ বলে ঠিক ৫০ করে আউট হন তামিম। ওয়ানডেতে এটা তার ৪৪তম হাফসেঞ্চুরি।
তামিমের পরপরই ৮০ বলে ৬২ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে ড্রেসিংরুমে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। সাকিব- মাহমুদউল্লাহ জুটি ধীরে সুস্থে খেলতে থাকেন। উইকেটে সেট হতে বেশ সময় নেন। বিশেষ করে রিয়াদ। এ ম্যাচে যে তিনি বড় কিছু করতে পারবেন না, সেটা বুঝা গিয়েছিল শুরুতেই। তারপরেও সাকিবের সঙ্গে তার ৬১ রানের জুটিকে গুরুত্বপূর্ণই বলতে হবে। পরপর দুই উইকেট হারিয়ে যে চাপ ভর করছিল সেটা দূর হয় এ জুটির কারণেই। রিয়াদ করেন ৩০ রান, ৫১ বলে।
ওদিকে ৫৪ বলে ক্যারিয়ারের ৪০তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব আল হাসান। হাফ সেঞ্চুরির পর হাতখুলে খেলছিলেন সাকিব। কিন্তু যেতে পারেননি বেমিধুর। ৬২ বলে ৬৫ করে বিদায় নিতে হয়েছে সাকিবকে। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৬ বলে আউট হন সৌম্য। ৫ রান করার পর আহত হয়ে ফিরে যাওয়া লিটন ব্যাট করতে নামলেও আর মাত্র ৩ রান যোগ করে করতে পারেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর থামে ৭ উইকেটে ২৫৫ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৫৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।
(ঢাকাটাইমস/১১ ডিসেম্বর/এসইউএল)