আ.লীগকে খুঁজে পাওয়া যাবে না: মওদুদ
৫০ শতাংশ সুষ্ঠু ভোট হলেও আওয়ামী লীগকে খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ। বলেছেন, এমনটা জানে বলে আওয়ামী লীগ ভোটের মাঠে সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে।
বুধবার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতা এই কথা বলেন। তার অভিযোগ, দেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। এ কারণে নির্বাচনী পবিবেশ চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শেষ দিন পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকার কথাও বলেন মওদুদ।
নিজের নোয়াখালী-৫ আসনে নির্বাচনের মতো কোনো পরিবেশ নেই বলেও অভিযোগ করেন এরশাদ ও খালেদা জিয়া সরকারের মন্ত্রী। ওই আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মওদুদ বলেন, ‘নেতাকর্মীদের গণতান্ত্রিক অধিকার নির্বাচনী প্রচারণা চালানো। সেটা সরকার চালাতে দিচ্ছে না। তারা তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করছে।’
‘সরকারি দলের সবকিছু আছে, কিন্তু তাদের মাঠে ময়দানে ভোট নেই। এই বাস্তবতা বুঝে তারা সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকে বেছে নিয়েছে। তাই এ নির্বাচন আদৌ নির্বাচন হবে কি না এটা জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’
আগের দিন নোয়াখালী সদরে এক যুবলীগ নেতার মাথা থেঁতলে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির মিছিল থেকে হামলা করে এই হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ আছে। তবে এই বিষয়টি নিয়ে কিছুই বলেননি মওদুদ।
বিএনপি নেতা বলেন, প্রশাসন আওয়ামী লীগের সমর্থকদের হামলা চালাতে সহায়তা করছে। হামলার সময় প্রশাসন তা নীরবভাবে তাকিয়ে দেখছে, কিন্তু সেটার কোন প্রতিবাদ করছে না। এটা থেকে বোঝা যায় এতে তাদের মৌন সমর্থন রয়েছে।’
সারা দেশেই ধানের শীষের পক্ষে জোয়ার উঠেছে বলেও দাবি করেন মওদুদ। বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি শেষ পর্যন্ত জনগণের বিজয় হবেই।...আমরা দৃঢতার সঙ্গে বিশ্বাস করি, জনগণ এবার ভোট কেন্দ্রে যাবেই। সরকারের পতন অবশ্যই হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও। তিনি বলেন, ‘আইন শৃংখলা বাহিনী সদস্যদের নিষ্ঠুরতা বন্য হিং¯্রতাকেও হার মানিয়েছে। পরিকল্পিভাবে নিবাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে সরকার।’
‘সরকার এখন বিরোধী দলের প্রযুক্তি ব্যবহারের অধিকারকেও হরণ করছে। সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।’
‘ধানের শীষের কর্মী সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় নামতে দিচ্ছে না পুলিশ। আর আওয়ামী লীগকে নগ্নভাবে সহায়তা করছে আইনশৃংখলা বাহিনী।’
ঢাকাটাইমস/১২ডিসেম্বর/এসআর/ডব্লিউবি