রাজশাহী সদরের দুই প্রতিদ্বন্দ্বীই নাখোশ

প্রকাশ | ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:৪৮

রিমন রহমান, রাজশাহী

রাজশাহী সদর আসনে ভোটের পরিবেশ নিয়ে অসন্তুষ্ট নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়া ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা এবং ধানের শীষ নিয়ে লড়া বিএনপির মিজানুর রহমান মিনু।

বাদশার অভিযোগ, তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে জঙ্গি মদদদানের অভিযোগ আছে। আর জঙ্গি মদদদাতা প্রার্থীরা প্রচারে নামলে তাদের পেছনে জঙ্গিরাই দাঁড়াবে, তারা সহিংসতা করবে। তাই ভোটে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই।

অন্যদিকে মিনু সাংবাদিকদের বলেন, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা প্রদান করা হচ্ছে। এই অবস্থায় সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ তৈরি হয়নি।

বুধবার দুপুরে রাজশাহী সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদের নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখছিলেন বাদশা। এ সময় সাবেক প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেত্রী জিনাতুননেসা তালুকদার, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারও উপস্থিত ছিলেন।
বাদশা বলেন, ‘রাষ্ট্র যেখানে জঙ্গিদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স সেখানে তাদের মদদদাতাদের নির্বাচন করতে দেয়া ঠিক হয়নি। এটা নির্বাচন কমিশন ঠিক করেনি। নির্বাচন কমিশন মারাত্মক ভুল করেছে।’

ভোটারদেরকে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা বলেন, ‘আজকে সবার কাছে জানতে চাই, জঙ্গিবাদ চান, নাকি উন্নয়ন চান? যদি উন্নয়ন চান তাহলে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।’

‘আমরা নির্বাচিত হলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা সবাই জানেন। কিন্তু বিএনপি নির্বাচিত হলে তাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, এ প্রশ্ন অনেকের কাছে করেছি। কেউ উত্তর দিতে পারেননি। এখন যিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন, তার সম্পর্কে যদি কিছু না-ই জানি, দেশ চালাতে পারবেন কি না তার সে দক্ষতা সম্পর্কেও যদি না জানি, তাহলে কাকে ভোট দেব?’


‘সাধারণ মানুষ অকপটে আমাকে বলছে, নৌকায় ভোট দিব। কারণ, তিনি বিগত ১০ বছরে দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।’

সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু প্রচারের শুরুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, তারা নির্বিঘ্নে প্রচার চালাতে পারছেন না। দেশব্যাপী বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়া হচ্ছে।

সরকারি দল যতই ‘অত্যাচার ও নির্যাতন’ করুক না কেন বিএনপি ভোট থেকে সরবে না-সাফ জানিয়ে দেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র।

সকালে নগরীর ১০ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চালান মিজানুর রহমান মিনু। সঙ্গে ছিলেন নগর সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সহ-সভাপতি নজরুল হুদা, বোয়ালিয়া থানা সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার প্রমুখ।