আ.লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।
পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনে দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী লালনের অভিযোগ এনে তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।
আহত আরো ১৫ জন বরিশাল, কলাপাড়া ও গলাচিপা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চাপলী বাজারের বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয় এবং ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নে প্রচার মাইক ভাঙচুরেরও অভিযোগ করেন বিএনপির প্রার্থী। আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তার। বলেন, এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচনী জনসভায় ১৫ হাজার খিচুরির প্যাকেট বিলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী হুমায়ূন শিকদার, পৌর বিএনপির সভাপতি নুর বাহাদুর তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, সহসভাপতি মিজানুর রহমান টুটু বিশ্বাস, উপজেলা বিএনপি যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. ফারুক, শাহজাহান পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার নাসির উদ্দিন, যুবদল সভাপতি গাজী মো. আক্কাস প্রমুখ।
অন্যদিকে ১২ টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব এস এম রাকিবুল আহসান। তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, রাঙ্গাবালীতে বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসীরাই আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এতে আহত হয় অর্ধশত। এরা বর্তমানে কলাপাড়া, গলাচিপা ও বরিশালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কলাপাড়ান উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার বলেন, ‘আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। নৌকা এখানে নিশ্চিত বিজয়ী হবে। বিএনপি নিশ্চিত পরাজয় হবে বুঝতে পেরে এখন হামলা ও লুটপাটের মিথ্যা গল্প বানিয়ে প্রচার করছে।’
শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার বলেন, ‘বিএনপি যেসব আহতদের নাম উল্লেখ করেছে তারা স্থানীয় কেউ না, বহিরাগত। এই বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এ অনাকাক্সিক্ষত পরিবেশ সৃষ্টির জন্যই জড়ো হয়েছিল। যাদের কয়েকজনকে পুলিশ ট্রলারসহ আটক করেছে। এছাড়া মঙ্গলবার তারা কোনো সভা করেনি। ওরা ছিল মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান এবং সেখানে কোন খাবার পরিবেশন করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নৌকা মার্কার প্রার্থী মহিব্বুর রহমান মহিবের ভাই মাসুদ রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুল ইসলাম বিশ্বাস, বিমল সমদ্দার, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল আলম টিটো, উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন সোহাগ প্রমুখ।