আনুষ্ঠানিক প্রচারে ঐক্যফ্রন্ট
সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই: ড. কামাল
প্রকাশ | ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:২৭
সিলেটের শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন। জানিয়েছেন নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট নন। তবে ‘সুষ্ঠু’ নির্বাচন আদায় করে নেবেন।
গত সোমবার প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই সারাদেশে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে গেছে। তবে দৃশ্যত জনগণের কাছে যাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা।
আনুষ্ঠনিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে গতকাল বিকালে সিলেট যান ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। দুপুরে তাদের আসার কথা থাকলে বিমানের ফ্লাইট বিলম্বের কারণে পৌনে পাঁচটায় সেখানে পৌঁছান তারা।
দুপুরের আগেই মাজার এলাকায় জড়ো হন বিএনপিসহ জোটের শরিক দলের নেতাকর্মীরা। সে সময় তারা ধানের শীষের পক্ষে স্লোগান দেন।
শাহজালালের মাজার জিয়ারতের পর কামাল হোসেনসহ ঐক্যফ্রন্ট নেতারা যান হযরত শাহপরাণ (রহ.) মাজার জিয়ারতে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার শুরুর রীতি আছে। গত মার্চেই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের প্রচার শুরু করেন।
মাজার জিয়ারত শেষে দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার এলাকায় ও জৈন্তাপুরের বটতলা এলাকায় গণসংযোগে যান ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।
এর আগে সাংবাদিকদের ড. কামাল বলেন, দেশে এখনো সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি।
‘আমাদের নেতাকর্মীদের প্রতিদিন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আলামত নয়। তবে আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মাঠে থাকব। সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করে নিতে হবে।’
সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে জনগণের দেশের মালিকানা থাকে না উল্লেখ করে ঐক্যফ্রন্ট নেতা বলেন, ‘জনগণের মালিকানা না থাকলে স্বাধীনতা থাকে না। স্বাধীনতার লক্ষ্যই সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন। এজন্য দেশের ১৮ কোটি মানুষকে সোচ্চার হতে হবে।’
দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে আনতে ঐক্যফ্রন্টকে বিজয়ী করার আহবান জানান ড. কামাল। বলেন, ‘৩০ তারিখ সকাল থেকে আপনারা ভোট প্রয়োগ করবেন। ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবেন। দুই নম্বরি করতে দেবেন না। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে লড়ে যাব আমরা।’
এ সময় তার সাথে ছিলেন ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা আ স ম আব্দুর রব, কাদের সিদ্দিকী, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
গত ১৩ অক্টোবর সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ঐক্য গঠনের চেষ্টায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়। এর শরিক দলগুলো হলো বিএনপি, গণফোরাম, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোট বর্জন করা বিএনপি ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পরই ভোটে আসার ঘোষণা দেয়। এই জোটের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে ২০ দলীয় জোটও অটুট আছে বিএনপির। আর জামায়াত এবং ঐক্যফ্রন্ট নেতারাও ধানের শীষে ভোট করছেন।